ব্যুরো নিউজ, ২৫ নভেম্বর : কলকাতার মুচিপাড়া থানায় পণের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার এবং তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দীপ ধরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার কলকাতার সিজেএম আদালত সন্দীপকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কুলটিতে এসটিএফের হানা, উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র
বিয়ের পরই স্ত্রীর কাছে পণ দাবি

আদালত সূত্রে জানা গেছে মুচিপাড়ার বাসিন্দা নির্যাতিতা মহিলা একজন দত্তক সন্তান। ২০২১ সালে সন্দীপের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সন্দীপ কলকাতা হাই কোর্টের এক আইনজীবীর করণিকের কাজ করে। বিয়ের আগে সন্দীপ স্ত্রীকে জানিয়েছিল যে তার মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা কিন্তু বাস্তবে তার রোজগার ছিল মাত্র ৭ হাজার টাকা। বিয়ের পরই স্ত্রীর কাছে পণ দাবির শুরু হয়। স্ত্রীর পিতা-মাতা পণ দিতে না পারায় সন্দীপ তার স্ত্রীকে চাপ দিতে শুরু করে এবং রোজগার করার জন্য বাধ্য করে।ফিজিওথেরাপির কাজ শিখে স্ত্রী নিজের রোজগারের টাকা স্বামীকে দিতে থাকেন কিন্তু সন্দীপের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি পণ না পাওয়ার কারণে সন্দীপ স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন। ওই সময় নির্যাতিতা নিজে কোনো রকমে বাঁচেন এবং পরে মা-বাবার কাছে চলে যান। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়।
রানিগঞ্জে ডিনামাইট বিস্ফোরণে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে সন্দীপ ইতিমধ্যেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।



















