ব্যুরো নিউজ,২৯ আগস্ট: আর জি কর হাসপাতালে মৃত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন গোটা রাজ্যবাসী। মহিলাদের নিরাপত্তার উপরে উঠেছে বড় প্রশ্ন চিহ্ন। বাড়ির অভিভাবকেরা বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। এ রাজ্যে মেয়েদের কোন নিরাপত্তা নেই। এর একটা বিহিত দরকার। মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’এই দাবি তুলে আমরণ অনশনে বসলেন এক যুবক। তার বাড়িতেও একটি ছোট মেয়ে রয়েছে। সেই মেয়ে একদিন বড় হবে, তার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকবেন বাবা-মা এটা তো ভীষণ স্বাভাবিক কথা। শুধু নিজের মেয়ের কথা ভেবে নয় রাজ্যের সমস্ত মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তিনি আমরণ অনশনে নেমেছেন। ৩৩ বছর বয়সী সেই যুবকের নাম ইন্দ্রনাথ দুয়ারী। গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডে বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে তিনি আমরণ অনশনে বসেন। তার দাবি একটাই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
প্রাণের ভয় না পেয়ে দেবদূতের মতন এক মহিলাকে বাঁচালেন RPF
‘দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’
তার এলাকায় ইন্দ্রনাথ দুয়ারীকে সকলে রানা নামে চেনে। ভাড়ায় মোটরবাইক চালিয়ে তার সংসার চলে। তিনি জানান যে আরজিকর কাণ্ডের ঘটনায় তিনি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি। একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন সকলেই নিজের নিজের মতন করে প্রতিবাদ করছে। তারও প্রতিবাদ করা উচিত সুন্দর একটা সমাজ গড়ে তোলার জন্য তাই তিনি আমরণ অনশনে নেমেছেন। তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তিনি এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে যে রানা একজন বিজেপির সক্রিয় কর্মী। কিন্তু বিজেপির সক্রিয় কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তিনি দলীয়ভাবে প্রতিবাদ করছেন না।সাধারণ মানুষের হয়ে মা-বোনেদের সম্মান রক্ষা এবং নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে তিনি রাস্তায় বসেছেন। তাকে কোন রাজনৈতিক ঝান্ডা নিয়েও বসতেও দেখা যায়নি।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাজারে আসতে চলেছে আইফোন 16 ঘোষণা করলেও অ্যাপেল সংস্থা
শাসক দলের তরফ থেকে কোন হুমকি এসেছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনো তাকে এখনো কেউ বাধা দেয়নি । তবে বেহালা থানার অ্যাডিশনাল ওসি ও পর্ণশ্রী থানার বড়বাবু এসে শুধুমাত্র তাকে দেখে গিয়েছেন। তাকে বলেছেন রাত্রিবেলা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই উঠে যেতে। কিন্তু ইন্দ্রনাথ বাবু জানেন যাই হয়ে যাক না কেন তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তার এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। পথ চলতি মানুষ থেকে এলাকার দোকানদাররা তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছেন।অনেকেই সকাল সন্ধ্যা তার পাশে বসে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। বৃষ্টি হলে তাকে দোকানে আশ্রয় দিচ্ছেন। তিনি বলেন তার পরিবার তাকে সম্পূর্ণ রূপে সমর্থন করছেন তবে তার শরীরের কথা ভেবে ভয় পাচ্ছেন। ইন্দ্রনাথ বাবুর আমরণ অনশনে বসার কারণে ঘুম উড়েছে শাসকদলের।