ব্যুরো নিউজ,৪ ডিসেম্বর:২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।হাতে মাত্র ১৫ মাস রয়েছে আর এর মধ্যে ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যদি টিকিট না পান তবে তার নামের আগে ‘প্রাক্তন বিধায়ক’ তকমা সেঁটে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর রাজনীতিতে নতুনভাবে এগোতে চান আর সেজন্যই নরম সুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ওয়াকফ প্রস্তাব নিয়ে তীব্র আলোচনা, শেষে বিজেপির ওয়াকআউট
রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি
এটি ছিল এক বড়ো টানাপড়েনের পরিসমাপ্তি। কিছুদিন আগে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খোলাখুলি বিদ্রোহী সুরে কথা বলেছিলেন। তিনি দলের উপর একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন এবং শোকজ চিঠি পাওয়ার পর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নও তুলেছিলেন। তবে সোমবার সকালে, তিনি তার ভুল স্বীকার করলেন এবং জানালেন ‘আমি ভুল করেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ীই শেষ কথা।’ তিনি আর কোনও বিতর্কে না গিয়ে দলের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনতে চাইলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এখন থেকে বিধায়কদের সমস্যা জানাতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে যেখানে সপ্তাহে একদিন বিধায়করা তাদের সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে দুর্নীতি রুখতে রাজ্যের নতুন পদক্ষেপ
এই ধরনের সুর নরম করে হুমায়ুন কবীর যে রাজনৈতিকভাবে কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা স্পষ্ট। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নিজের পদের গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য তিনি এবার নিজের ভুল স্বীকার করলেন এবং দলের কাছে ক্ষমা চাইলেন।রাজনীতির এই অঙ্গনে যেখানে বিদ্রোহী সুর থেকে ধীরে ধীরে নমনীয়তা আসে। হুমায়ুন কবীরের এই পরিবর্তন রাজ্যের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।