ব্যুরো নিউজ,১৩ জানুয়ারি:বিড়াল একটি আদরের প্রাণী। তাকে কোলে তুলে আদর করা, খাওয়ানো বা ঘুম পাড়ানোর মতো কাজগুলো একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তবে, শুধুমাত্র তাকে খাওয়ানো আর আদর করা নয়, তার মনও বুঝতে হয়। কীভাবে বুঝবেন আপনার পোষ্য বিড়াল সুখী আছে কিনা বা তার মনের কথা কী?প্রথমত, বিড়ালদের শরীরী ভাষা বুঝে তার মন পড়া যায়। যখন বিড়াল লেজ উঁচু করে চলাফেরা করে, তখন তা বন্ধুত্বের ইঙ্গিত। তবে যদি বিড়াল রেগে গিয়ে লেজ খাড়া করে ধরে, তবে তা সে রাগী অবস্থায় রয়েছে। তাই বিড়ালের শরীরী ভাষা যদি ঠিকঠাক পড়তে পারেন, তাহলে তার মন জানাটা সহজ হতে পারে।
‘ডার্ক’ চকোলেট খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? কি বলছেন পুষ্টিবিদরা?
মন জানাটা দরকার
এছাড়া বিড়ালের জন্য নিরাপদ পরিবেশও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরবাড়ি, খেলাধুলার স্থান, খাবার, জল এবং প্রস্রাবের স্থান নিশ্চিত করা তার সুস্থ থাকতে সহায়ক। একে অপরের সাথে তার সম্পর্ক যেমন খেতে দিতে হবে, তেমনি তার প্রয়োজনীয়তাগুলি যেমন নখ ঘষা বা পরিষ্কার থাকার জায়গা পূরণ করা প্রয়োজন। এছাড়া, বিড়ালকে প্রতিদিন আদর করলেই তার মন ভাল থাকে।বিড়ালের প্রস্রাবের পাত্রও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিড়াল নিজেকে পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে, তাই তার প্রস্রাবের পাত্র সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। যদি তা নোংরা থাকে, তা হলে বিড়াল অসন্তুষ্ট হতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে বাড়িতে বিড়ালের প্রস্রাবের পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না, সেখানে বিড়ালের মূত্রে পরিবর্তন আসে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
‘র্যাবিট ফিভার’ বা টুলারেমিয়া কি? কীভাবে এ থেকে বাঁচবেন জানুন
অন্যদিকে, যদি বাড়িতে একাধিক বিড়াল থাকে, তবে তাদের মধ্যে খাবার ও জায়গা নিয়ে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং, বিড়ালের জন্য ব্যক্তিগত স্থান এবং খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত।অবশেষে, বিড়ালকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়, তবে তাকে অন্যান্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হবে। বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় তাকে সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।এক কথায়, বিড়াল আমাদের বাড়ির সদস্য হলেও তার মনের খোঁজ নেওয়া এবং তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।