ফোন ব্যাবহারে কীভাবে তৈরি হয় মানসিক চাপ এবং ভ্রমের সমস্যা?

ব্যুরো নিউজ,২৫ জানুয়ারি :আপনার ফোন কি কখনও আপনার মনোযোগ, অস্থিরতা, বা এমনকি দুঃখের কারণ হয়েছে? অনেকেই এটিকে কেবল অভ্যস্ত হয়ে পড়া বা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফল হিসেবে মনে করেন। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এক নতুন এবং ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে: ফোন আপনাকে শুধু উদ্বেগই সৃষ্টি করে না, এটি আপনার মধ্যে ভ্রম বা হলুসিনেশনও তৈরি করতে পারে।এই গবেষণাটি স্যাপিয়ান ল্যাবসের একটি যৌথ উদ্যোগ ছিল, যেখানে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা একত্রিত হয়ে ২০২৪ সালে ১০,৪৭৫ জন কিশোর-কিশোরীর মানসিক স্বাস্থ্য এবং ফোনের প্রভাব নিয়ে এক বিস্তারিত সমীক্ষা চালিয়েছেন। গবেষণার ফলাফল জানাচ্ছে, বর্তমান সময়ে কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগজনকভাবে খারাপ হচ্ছে, বিশেষ করে ছোটদের।

WhatsApp এ বিনিয়োগের নামে বিশাল প্রতারণাঃ সাবধানতা অবলম্বন করুন!

মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে দেখা যাচ্ছে

যেসব কিশোর-কিশোরীরা ফোন খুব তাড়াতাড়ি পায়, তাদের মধ্যে মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৩ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের হাতে প্রথম ফোন পেলে এই বয়সীদের মধ্যে ৫৬% মানসিক চাপ অনুভব করছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবন এবং কাজকর্মে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।গবেষণা আরও জানাচ্ছে, কিশোরদের মধ্যে দুঃখ, ভয় এবং অপরাধবোধের অনুভূতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ৫০% কিশোর তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে এই অনুভূতিগুলোর কারণে সমস্যায় পড়ছে। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, ১৩ বছর বয়সী কিশোরদের মধ্যে একদিকে যেমন তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মকত এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে, তারা ভ্রম বা হলুসিনেশনও অনুভব করছে।

বিশাল স্বাস্থ্য উপকারিতায় ক্যামেল মিল্কঃ জানুন এর চমকপ্রদ উপকারিতা!

গবেষণা বলছে, ১৩ বছর বয়সীরা ২০% বেশি ভ্রম অনুভব করছে এবং ৪০% বেশি আক্রমণাত্মক এবং বিরক্ত হয়ে উঠছে।তবে, এই সমস্যাগুলির কারণ কী? গবেষণার ফলাফল অনুসারে, প্রাথমিক বয়সে ফোন পাওয়ার অভ্যাস এই সমস্যার প্রধান কারণ। বর্তমান যুগে যেখানে ডিজিটাল যন্ত্রগুলো সহজলভ্য, সেখানে কিশোর-কিশোরীরা তাদের প্রথম ফোন পায় অনেক আগে। তবে, এই ফোনের ব্যবহার কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর