ব্যুরো নিউজ,৩০ অক্টোবর:মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল নির্দেশ দিয়েছেন, ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিলের আগে আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য শুনতে হবে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলকে। বিচারপতি বলেন, সন্দীপ বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন, তাই মেডিকেল কাউন্সিলের দেওয়া কারণ দর্শানোর অর্থাৎ শো কজ নোটিশের প্রেক্ষিতে তার স্ত্রী উত্তর দেবেন।
হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে রাজ্যের সাফল্যঃ অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাননি
বিচারপতি আদালতে জানান, সন্দীপের স্ত্রীকে বক্তব্য পেশ করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। এরপর ২২ নভেম্বরের মধ্যে সন্দীপের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে কাউন্সিলকে।সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি আর জি কর হাসপাতালে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর তথ্য প্রমাণ লোপাট ও আর্থিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত। এই দুটি মামলায় তিনি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেপ্তারির পর রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল সন্দীপের ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করে এবং রাজ্যের বৈধ চিকিৎসকদের তালিকা থেকেও তার নাম বাদ দেয়।
সবজির অগ্নিমূল্যে রাজ্যের উদ্বেগ এবং টাস্ক ফোর্সের বৈঠক
গত ১৪ অক্টোবর, কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিচারপতি পার্থসারথি সেনের কাছে মামলা করেন সন্দীপ। তবে জরুরী ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সন্দীপের আইনজীবী বলেন, লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর সন্দীপ নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাননি। জেলে থাকার কারণে তিনি কাউন্সিলের নোটিশের উত্তরও দিতে পারেননি।এখন হাইকোর্টের এই নির্দেশ সন্দীপ ঘোষের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে, এবং রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলকে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।