ব্যুরো নিউজ,২২ ফেব্রুয়ারি :এখনকার দিনে অনেকেই চিয়া বীজ, ওট্স বা কিনোয়া খাচ্ছেন ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি, সুজিও যে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে, তা? আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) জানিয়েছে, সুজি সঠিকভাবে খেলে খুব দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। সুজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যার ফলে এটি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি বাড়ে না। পাশাপাশি, সুজি প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ওজন কমানোর জন্য ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার যা সহজেই তৈরি করা যায় জেনে নিন
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়ক
১০০ গ্রাম সুজি থেকে প্রায় ৩৬০ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রোটিন ১২.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭২ গ্রাম, ফাইবার ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম এবং ম্যাগনেশিয়াম ৪৭ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। সুজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। এটি পেটও ভরিয়ে রাখে এবং ক্ষুধা কমায়, যার ফলে কম পরিমাণে খিদে পায়। সুজি খেলে পেটের কোনো সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম, এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়ক।তবে, সুজি খাওয়ার সময় মিষ্টি বেশি না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সুজি উপকারী হতে হলে সঠিকভাবে এবং পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তাহলে কীভাবে সুজি খেলে উপকার পাবেন? চলুন, দেখে নেওয়া যাক সুজি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্যকর উপায়।
সুজি খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায়:
১. সব্জি দিয়ে সুজির উপমা:
সব্জি দিয়ে সুজি বানানো খুব স্বাস্থ্যকর উপায়। প্রথমে সাদা সুজি হালকা করে নেড়ে নিন। এরপর কড়াইতে এক চামচ সাদা তেল গরম করে, সর্ষে, কারিপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ বাদামি হলে, গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম বা অন্য কোনো সব্জি যোগ করুন। এরপর এতে সুজি ও অল্প জল দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। এইভাবে খেতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর এবং পেটও ভরাবে।
২. সুজির পরিজ:
সুজির পরিজও একটি স্বাস্থ্যকর উপায়। প্রথমে সুজি হালকা ভেজে নিন এবং তাতে দুধ যোগ করে ফুটিয়ে নিন। এরপর উপরে মধু এবং ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে খেতে পারেন।
৩. সুজির ইডলি:
এটি খুবই স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি। কড়াইয়ে তেল দিয়ে সর্ষে, বিউলির ডাল ও ছোলার ডালে ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ কুচি, গাজর কুচি, বিনস কুচি এবং সামান্য নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এরপর সুজি ও এক কাপ দই যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ধনেপাতা যোগ করতে পারেন। এই মিশ্রণটি ইডলির স্টিমারে ১৫ মিনিট স্টিম করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুজির ইডলি।
প্যাকেটজাত দুধ কি ফোটানো উচিত? কি বলছেন গবেষকরা?
মনে রাখবেন:
সুজি খাবারের পরিমাণ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং অতিরিক্ত মিষ্টি পরিহার করতে হবে।
সুজি একটি সহজ এবং স্বাস্থ্যকর উপায় হতে পারে ওজন কমানোর জন্য। এর পুষ্টিগুণ এবং হজমের সুবিধাগুলি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উপায়ে সুজি খেলে, এটি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান হিসেবে কাজ করবে।