ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। শনিবার এক এক্স হ্যান্ডলে ইসরায়েল জানিয়েছে, “হাসান নাসরুল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করতে পারবেন না।”
‘আমরা বিচার চাই’—লগ্নজিতার নতুন উদ্যোগ
বিমান হামলা
গত শুক্রবার রাতে ইসরায়েলী বিমান হামলা চালানো হয় হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে। সেখানে হাসান নাসরুল্লাহ এবং অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।হামলার পর তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়, তবে হিজবুল্লাহ এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে হামলা অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল।” এই বক্তব্যের পরপরই লেবাননে জোরালো হামলা চালানো হয়েছে।হাসান নাসরুল্লাহর জন্ম হয় ১৯৬০ সালে বৈরুতের পূর্বাঞ্চলীয় বুর্জ হামুদ এলাকায়। তিনি ১৯৭৫ সালে লেবানন গৃহযুদ্ধের সময় শিয়া মুভমেন্ট ‘আমাল’–এ যোগ দেন। পরে ১৯৮৫ সালে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনি এতে যোগ দেন।হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নাসরুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ‘ইসলামের প্রধান দুই শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি ইসরায়েলকে মুসলিমদের ভূমি দখলকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে তিনি হিজবুল্লাহর প্রধান হন।
বাবন শিন্ডেঃসাধুর ছদ্মবেশে ৩০০ কোটি টাকার প্রতারক গ্রেফতার
নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং ২০০০ সালে ইসরায়েলকে লেবানন থেকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। তার নেতৃত্বে সংগঠনটি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ইরান থেকে সংগ্রহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ব্যবহার করেছে।কিছু বছর ধরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েল ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। হিজবুল্লাহ মাঝেমধ্যে ইসরায়েলের অভ্যন্তর ও গোলান মালভূমিতে রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হলে হিজবুল্লাহর ভবিষ্যৎ কি হবে, তা এখন দেখার বিষয়।