ব্যুরো নিউজ,৪ ডিসেম্বর:ব্রণের সমস্যায় বছরের পর বছর ভোগেন? কপালে, গালে বা পিঠে ছোট ছোট ফুস্কুড়ি উঠতে থাকে? যা সারতেই চায় না? আপনি জানেন কি আপনার চুলের সমস্যাও হতে পারে এর অন্যতম কারণ। মাথার ত্বকে খুশকি বা চুলে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলে তা মুখে ব্রণ এবং র্যাশের সমস্যা তৈরি করতে পারে।আসুন জেনে নিই কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া উচিত যাতে ব্রণের সমস্যা কমানো যায়।
ফেস ওয়াশের নিয়মিত ব্যবহারে কি আপনি আপনার ত্বককে পরিষ্কার রাখার চেয়ে ক্ষতি করছেন বেশি?
পরিষ্কার রাখতে ভুলবেন না
প্রথমেই বুঝে নেওয়া জরুরি চুলের সঙ্গে মুখের ত্বকের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।চুলে লেগে থাকা ধুলোময়লা, তেল বা অন্যান্য ময়লা মুখের ত্বকে জমে ব্রণের কারণ হতে পারে। এজন্য সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন চুল শ্যাম্পু করে পরিষ্কার রাখা উচিত। কপালে বা পিঠে খুশকিজনিত ব্রণ সাধারণ ব্রণের থেকে আলাদা। সাধারণত চুলের ফলিকল বা মাথার ত্বক থেকে এই ধরনের সংক্রমণ শুরু হয় এবং তা মুখের ত্বকেও ছড়িয়ে পড়ে।যদি আপনার মাথায় খুশকির সমস্যা থাকে তবে তা থেকে ছত্রাকের সংক্রমণও হতে পারে যা ব্রণ এবং ফুস্কুড়ির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।এর পাশাপাশি ব্লো ড্রাইয়ের ফলে চুল সুন্দর দেখালেও অতিরিক্ত ব্লো ড্রাই করলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্লো ড্রাই করা থেকে বিরত থাকুন।
অভিনেত্রীদের মতো চুলের যত্ন নিতে ব্যাবহার করুন এই জিনিসগুলি !
এছাড়া যদি চুলে রাসায়নিক দেওয়া হেয়ার জেল বা ক্রিম ব্যবহার করেন তবে তা থেকেও মুখে ব্রণ হতে পারে। তাই বাজার থেকে কেনা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারের সময়ে সতর্ক থাকুন।তবে প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে আপনি কলা এবং মধুর প্যাক অথবা ডিম ও অলিভ তেলের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। নারকেল তেল চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। অ্যালোভেরা মাথার ত্বকে সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।মোট কথা, চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখলে, ব্রণের সমস্যাও অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে ভুলবেন না।