ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি :টপার হওয়া এমন কিছু নয় যা শুধুমাত্র genius রা হতে পারে। একজন গড়পড়তা ছাত্রও যদি কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তোলে, তাহলে সে টপার হতে পারে। কিছু সুনির্দিষ্ট অভ্যাস এবং ধারাবাহিক চেষ্টার মাধ্যমে যে কেউ তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। তবে মনে রাখবেন, এই অভ্যাসগুলি একদিনে তৈরি হয় না, এগুলিকে আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে অবলম্বন করতে হবে।
ধনী হতে চান? চাণক্যের এই ৮টি নীতি মেনে চলুন
টপার হওয়ার জন্য ৮টি কার্যকর অভ্যাস
১. নিয়মিত পড়াশোনা করুন
পরীক্ষার আগে একটানা পড়াশোনা না করে, নিয়মিত পড়াশোনা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন কিছু সময় পড়াশোনার জন্য বের করুন। পরীক্ষার সময় হঠাৎ করে পড়া শুরু করার চেয়ে এই অভ্যাস অনেক বেশি কার্যকর।
২. টাইম টেবিল তৈরি করুন
আপনার সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য একটি টাইম টেবিল তৈরি করুন এবং তাতে প্রতিদিনের কাজগুলির পরিকল্পনা করুন। সময়ের মধ্যে পড়াশোনা এবং বিশ্রাম একসঙ্গে রাখা খুব জরুরি।
৩. প্রতিদিন ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
প্রতিদিনের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, যেমন আজ যে বিষয়টা পড়বেন, সেটি শেষ করতে হবে। যখনই আপনি ওই লক্ষ্য পূরণ করবেন, নিজেকে প্রশংসা করুন। এতে আপনার অনুপ্রেরণা বজায় থাকবে এবং আপনি আরো ভালো কাজ করবেন।
৪. সময়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করুন
টপার হতে হলে সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সময়কে সঠিকভাবে সঙ্গঠিত করুন, অগ্রাধিকার ঠিক করুন এবং পরিশ্রম করুন। সময়কে ভালোভাবে ব্যবহার না করলে, টপে ওঠা সম্ভব নয়।
৫. নোট তৈরি করুন
যতই পড়ুন, নোট তৈরি করুন। এটি আপনাকে পরবর্তী সময়ে পুরনো পড়া দ্রুত মনে করতে সাহায্য করবে এবং পরীক্ষার সময় আপনি পুরো বই আবার পড়তে যাবেন না।
৬. প্রতিনিয়ত অনুশীলন করুন
টানা অনুশীলন আপনাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিদিন একটু একটু করে পড়ুন এবং মক টেস্ট দিন। এতে আপনি জানবেন আপনার প্রস্তুতি কতটা এগিয়েছে। মক টেস্টের মাধ্যমে নিজের জ্ঞান আরো শক্তিশালী করতে পারবেন।
এপ্রিল মাসে বুধের সোজা চালঃ কর্কট, ধনু ও মিথুন রাশির ভাগ্য খুলবে?
৭. নিজেকে মূল্যায়ন করুন
নিজের দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করুন এবং সেগুলো দূর করার জন্য পরিশ্রম করুন। একেই বলা হয়, নিজেকে মূল্যায়ন করা। আপনার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠলে, আপনি আপনার কাজের প্রতি আরো মনোযোগী এবং দক্ষ হয়ে উঠবেন।
৮. ইতিবাচক চিন্তা রাখুন
টপার হতে গেলে ইতিবাচক চিন্তা রাখাটা খুব জরুরি। নেতিবাচক চিন্তা বা হতাশা আপনার মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে। তাই, সব সময় আত্মবিশ্বাসী এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন।
শৃঙ্খলা বজায় রাখুন
শৃঙ্খলা হলো সফলতার এক বড় চাবিকাঠি। শৃঙ্খলা আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। তবে শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়, এর সাথে সঠিক নির্দেশনা এবং কৌশলও প্রয়োজন।টপার হওয়া শুধুমাত্র পরিশ্রমের ব্যাপার নয়, বরং এটি সঠিক অভ্যাসের ফল। আপনি যদি এই অভ্যাসগুলি প্রতিদিনের জীবনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তবে আপনার মধ্যে একজন সফল ছাত্র/ছাত্রীর গুণাবলী তৈরি হবে এবং আপনি খুব শীঘ্রই টপার হয়ে উঠবেন।
