ব্যুরো নিউজ,২৮ জানুয়ারি :সম্প্রতি পুণেতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে ১০০ জনের বেশি গিলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস (Guillain-Barré Syndrome) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান, এই রোগের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কাঁচা বা অপরিশুদ্ধ খাবার এবং জল থেকে। পুণেতে একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়া, ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি, এই রোগটির জন্য দায়ী। এই ব্যাকটেরিয়া খাবার বা জলের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়াচ্ছে, যার ফলে একাধিক স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিশাল স্বাস্থ্য উপকারিতায় ক্যামেল মিল্কঃ জানুন এর চমকপ্রদ উপকারিতা!
জিবিএস বা গুলেন বারে সিনড্রোম কী?
জিবিএস বা গুলেন বারে সিনড্রোম একটি অটোইমিউন রোগ, যার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শরীরের স্নায়ুতে আক্রমণ করে। এই রোগটি শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুবিক কার্যকলাপে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এটি অনেকভাবে হতে পারে, তবে পুণেতে যেহেতু ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে, তাই এটি এই রোগটির মূল কারণ হতে পারে।
ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি ব্যাকটেরিয়া কীভাবে ছড়াচ্ছে?
চিকিৎসকদের মতে, এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত জল ও খাবারের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। বিশেষত, কাঁচা বা অল্প সিদ্ধ খাবারে এই ব্যাকটেরিয়া জীবিত থাকে এবং সহজেই মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। পোলট্রি ফার্মের মাংস, অপরিষ্কার রান্নার সরঞ্জাম বা অন্যের ব্যবহৃত বাসনকোসন থেকেও এই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। তাই খাদ্যসামগ্রী এবং পানীয়তে সতর্কতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জিবিএসের উপসর্গ কী কী?
এই রোগের উপসর্গ সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্নায়ুবিক সমস্যার মতো প্রকাশ পায়। কিছু সাধারণ উপসর্গ হল:
- হাঁটতে সমস্যা হওয়া
- শ্বাসকষ্ট
- কথা বলা বা খাবার চিবোতে অসুবিধা
- হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া
- মলমূত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা
- রক্তচাপ ওঠানামা করা
চিনা স্টার্ট-আপ ডিপসিকের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারে তীব্র পতনঃ প্রযুক্তি শেয়ারগুলি ক্ষতির মুখে
জিবিএস কি সংক্রামক?
এটি একটি অটোইমিউন রোগ, তাই এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয় না। তবে, ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি ব্যাকটেরিয়া খাবার, জল এবং রান্নার সরঞ্জামের মাধ্যমে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়াতে পারে।
কেন চিজ়, পনির, ভাত এড়িয়ে চলবেন?
এ সম্পর্কে সম্প্রতি দিল্লি এইমসের চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সেহরাওয়াত ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, ভাত, পনির, চিজ়ের মতো খাবার এই ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী। এগুলি ব্যাকটেরিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে, তাই এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
২০২৫ সালে শনি ট্রানজিটঃ ১২টি রাশির জন্য সৌভাগ্য এবং সতর্কতার বার্তা জানুন
সাবধানতা অবলম্বন করুন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
এতসবের পরেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তবে, যেকোনো ধরনের শারীরিক অসুবিধা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।