ব্যুরো নিউজ,২৯ জানুয়ারি :২০২১ সাল থেকে আইসিসির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জিওফ অ্যালার্ডিস। তবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর পদত্যাগের কারণ হিসেবে কিছু তথ্য সামনে আসছে, যা আইসিসি কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে, ধারনা করা হচ্ছে, পাকিস্তানে চলমান নিরাপত্তা এবং মাঠ প্রস্তুতির সমস্যা থেকে শুরু করে, আমেরিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ও অতিরিক্ত খরচের কারণেই অ্যালার্ডিসের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মোদী-ট্রাম্পের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ঃ শুল্ক, প্রতিরক্ষা ও ভূরাজনৈতিক চাপ
পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত কেন?
অ্যালার্ডিস ২০১২ সালে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নিজেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আইসিসির সিইও পদে দায়িত্ব গ্রহণ করা ছিল একটি বড় সম্মান। ক্রিকেটের উন্নতি এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আমি যে কাজ করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আমার জন্য এটি সঠিক সময় বলে মনে করি।”
আইসিসির তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ না জানালেও, এক সূত্র জানিয়েছে যে, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হতে পারবে না, এই বিষয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই অ্যালার্ডিসের পদত্যাগ হতে পারে। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরাপত্তা কারণে ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে, কিন্তু পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে বাকি ম্যাচগুলো হওয়ার কথা। এই তিনটি মাঠের সংস্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি, এবং সময়মতো শেষ হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
রাজ্যে শিক্ষার মানে অবনতির চিত্রঃ সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়ছে
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ অ্যালার্ডিসের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “আইসিসির পক্ষ থেকে জিওফ অ্যালার্ডিসকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর কঠোর পরিশ্রমের কারণে ক্রিকেট এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমি তাঁকে ভবিষ্যতে অনেক শুভকামনা জানাই।”অ্যালার্ডিসের পদত্যাগের পর, আইসিসির সিইও হিসেবে তার জায়গায় কে আসবেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে, দৌড়ে আছেন ক্রিস টেটলি, অ্যালেক্স মার্শাল এবং ক্লেয়ার ফারলং।