ব্যুরো নিউজ,৩১ অক্টোবরঃছোটবেলায় শীতের দুপুর এলেই লেপমুড়ি দিয়ে ভূতের গপ্পের বই পড়ার মজাই আলাদা ছিল।আর যদি লোডশেডিং হত, তাহলে তো অন্ধকার আরও জমে যেত, তেনাদের গল্পে। কিন্তু আজকাল কি হ্যালোইনের আগমনের কারণে বাংলার ভূতেরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে? বাংলার ভূতেদের ভবিষ্যৎ কী?
অযোধ্যায় দীপোৎসবঃ দুই বিশ্ব রেকর্ডে উদ্ভাসিত রাম নগরী
বাংলার ভূতের ভবিষ্যৎ কি?
ভূত চতুর্দশীর দিন অন্তত আমাদের তাদের একটু স্মরণ করা উচিত। বাংলার ভূতদের নিয়ে তেমন গবেষণামূলক কাজ হয়নি, যেমন পশ্চিমী ভূত বা অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে হয়েছে। সুকুমার রায়ের গল্পে ভূতদের কিছু বিশ্লেষণ করা হলেও, প্রভাবশালী কাজের অভাব রয়েছে। সমাজবিদ তিথি ভট্টাচার্য ডিউক ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে তার গবেষণামূলক বই “ঘোস্টলি পাস্ট, ক্যাপিটালিস্ট প্রেজেন্স: আ সোশ্যাল হিস্ট্রি অব হওয়ার ইন কলোনিয়াল বেঙ্গল” প্রকাশ করেছেন। এই বইতে তিনি বাংলার ভূতের ভয়ের আর্থসামাজিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমী ভূতদের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলেও বাংলার মামদো, ব্রহ্মদৈত্যি, এবং পেত্নিরা যেন পিছিয়ে পড়েছে।
ধনতেরাসের পর সোনার বাজারে নতুন উদ্বেগঃ দামে রেকর্ড বৃদ্ধি
ভূতের ভয়ের বদলে এখন প্ল্যানচেট, অন্ধকারের ভয়, এবং অজানা জগতের ভয়ও মানুষের মনে স্থান দখল করছে। তিথি ভট্টাচার্য বাংলার ভূতদের দুই ভাগে ভাগ করেছেন: একদিকে ব্রহ্মদৈত্য, শাকচুন্নি প্রভৃতি, আর অন্যদিকে পশ্চিমী জগৎ থেকে আগত ভূত, যাদের মূলত প্ল্যানচেটের মাধ্যমে ডাকতে হয়।বাঙালির প্রচলিত ভূতের গল্পে এখনও পুরনো ভূতদের প্রাধান্য রয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমী ভূত বাঙালির অতি চেনা ভুতেদের মাঝে আস্তে আস্তে স্থান দখল করছে।