ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস বা এফএমসিজি হল এমন এক ব্যবস্থা, যা গ্রাহকের প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে দেয়। বর্তমানে স্মার্টফোনে প্রচুর পণ্য বিক্রির অ্যাপ আছে, যা এই এফএমসিজির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আপনি অনলাইনে অর্ডার দিলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার প্রয়োজনীয় সামগ্রী আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।এই নতুন ব্যবস্থার ফলে গ্রাহকদের সুবিধা বৃদ্ধি পেলেও, মুদির দোকানগুলির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এফএমসিজির জন্য মুদির দোকানগুলির অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এমনটা বলা ঠিক নয়। বিশেষত, শহর, গ্রাম এবং মফঃস্সলে পরিস্থিতি ভিন্ন।বিশেষজ্ঞদের মতে, এফএমসিজির ফলে মুদির দোকানগুলো নতুন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে, কিন্তু তারা এখনও ভেঙে পড়েনি। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মুদির দোকান রয়েছে, যা গৃহস্থের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জোগান দেয়।
সলমনের শোক ও উদ্বেগঃ বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর কেমন আছেন ‘ভাইজান’?
মায়াঙ্ক শাহ কি জানিয়েছেন ?
পার্লে প্রোডাক্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, আগামী দিনে খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে মুদির দোকানগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে না। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে গ্রাহকের কাছে দ্রুত পণ্য পৌঁছানোর বিষয়টি ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে তাদের বিক্রির ৮৫-৮৭ শতাংশই মুদির দোকানগুলির মাধ্যমে হয়ে থাকে।কিন্তু মেট্রো শহরগুলির পরিস্থিতি ভিন্ন। বহু মুদির দোকানের মালিক এখন নিজেদের ব্যবসা চালানোর বদলে নতুন কিছু চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বেঙ্গালুরুর জয়রাম হেগড়ের উদাহরণ দেওয়া যায়, যিনি তার মুদির দোকান দুটি জেপটোর ডার্ক স্টোরে রূপান্তর করেছেন। ডার্ক স্টোর হল এমন একটি গুদাম, যেখানে এফএমসিজি কোম্পানিগুলি পণ্য মজুত রাখে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদঃ আন্দোলন কি সত্যিই অরাজনৈতিক?
জয়রাম বলেন, “আমার কাছে আর কোনও উপায় ছিল না। দ্রুত পরিবর্তন না করলে টিকে থাকা সম্ভব নয়।” অন্যদিকে, নয়ডার বিপিন কুমারের মতো ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি আরও কঠিন। যিনি ভাড়া দিয়ে মুদির দোকান চালান। তার জন্য বিকল্প খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিপিন জানান, “ভাড়া বাড়ছে, কিন্তু আমাদের রোজগার কমছে। আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে অন্য কিছু করতে হবে।” এছাড়া, এফএমসিজি কোম্পানিগুলির প্রচুর অফার ও ছাড়ের কারণে মেট্রো শহরের মুদির দোকানগুলির জন্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে, মুদির দোকানগুলির ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।