ব্যুরো নিউজ,২৬ ফেব্রুয়ারি :রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এক বড় দুশ্চিন্তা। দেখতে ভালো না লাগার পাশাপাশি, চুলের গোঁজ ও জট পড়ে, যা দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তির সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে তিসি বা ফ্ল্যাক্স সিড। এটি শুধু শরীরের জন্যই উপকারী নয়, চুলের জন্যও দারুণ কার্যকর। তিসির তেল সাধারণত চুলের যত্নে ব্যবহার হয়, তবে তার জেলও চুলের মসৃণতা ও নরমতার জন্য বেশ উপকারী।
তিসির জেল কী?
তিসি বীজের মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক তেল, ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তিসি বীজ জলে সেদ্ধ করলে, তা থেকে একটি ঘন জেল তৈরি হয়, যা চুলের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। শীতকালে যখন চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তিসির জেল সেই শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলে আর্দ্রতা প্রদান করে।
তিসির জেলের উপকারিতা:
১. চুল সোজা করার জন্য:
যদি আপনি প্রাকৃতিকভাবে চুল সোজা করতে চান, তাহলে তিসির জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ই যোগ করতে পারেন। তিসির জেল চুলকে গভীরভাবে আর্দ্র করতে সাহায্য করে এবং কয়েক মাসের ব্যবহারে চুল মসৃণ ও সোজা হয়ে ওঠে।
২. চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক:
তিসির মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজ চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
৩. কোঁকড়ানো চুলের জন্য:
কোঁকড়ানো বা ফোলা চুলের জন্য তিসির জেল একটি কার্যকর সমাধান। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে এটি ব্যবহার করলে, কোঁকড়ানো চুল মসৃণ ও ঝলমলে হবে।
চুল পড়া কমাতে পেঁয়াজ তেলের উপকারিতাঃ জানুন কীভাবে ব্যবহার করবেন
তিসির জেল কীভাবে তৈরি করবেন?
একটি পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে তাতে এক মুঠো তিসি বীজ যোগ করুন। কম আঁচে নেড়ে নেড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিসির বীজ থেকে তেল বেরিয়ে যাবে এবং এটি ঘন হয়ে যাবে। এরপর একটি কাপড় দিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে এটি আরও ঘন হয়ে জেলের মতো হয়ে যাবে। এই জেলটি কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন।
তিসির জেল ব্যবহার করার পদ্ধতি:
শ্যাম্পু করার পর চুলে তেল মাখার পর, তিসির জেল ব্যবহার করুন। চুলে এটি ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।আরেকটি উপায় হল চুলের প্যাক তৈরি করা। তিসির জেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলে লাগান। ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন এবং পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।কিছু মাস এই নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল হবে ঝলমলে, মসৃণ এবং রুক্ষতা চলে যাবে।