photo

ব্যুরো নিউজ,৮ সেপ্টেম্বর:শনিবার তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগযুদ্ধ চলল প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা। একজন সাংসদ অভিনেতা দেব অপর জন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ ।এই বাক্যবাণে লড়াইটা শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ।দুদিন আগে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিনেতা দেব।আর এই নিয়ে এদিন তিনি সকাল ১০:১৮ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের সাংসদ অভিনেতা দেব কে খোঁচা দিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেল এ একটি পোস্ট করেন।লেখেন ঘাটাল হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটের উদ্বোধন আগেই হয়ে গিয়েছিল।উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

উত্তরপ্রদেশে মানুষ খেকো নেকড়ের পর এবার শেয়ালের আতঙ্ক। জখম ৭

“তুমি চৈতন্যদেব সাজছো”

উদ্বোধন করেছিলেন ভার্চুয়ালি এবং স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিরা উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ ১২ই মার্চ উপস্থিত ছিলেন। আবার ওই ইউনিটের উদ্বোধন করলেন সাংসদ দেব।দেব কে উদ্দেশ্য করে লিখলেন “সুপারস্টার একেই বলে।উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম পাল্টে সাংসদ”। কুনালের এই আক্রমণে পাল্টা জবাবে সাংসদ অভিনেতা দেব তার এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। লেখেন “আমার মনে হয় এর ফলে কোন মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ,সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। ধন্যবাদ তোমাকে তোমার মাধ্যমে এই পরিষেবার কথা আরো অনেকের কাছে পৌঁছে গেল”। দেব আরো লেখেন “শেষে একটাই কথা বলব,আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি,তাতে তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য না করাই ভালো।”দেবের এই পোষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে কুনাল ঘোষ আবার লেখেন “দিদি যে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন সেটা ছবিতেই স্পষ্ট।উদ্বোধন দুবার হয় না। আর চলতি পরিস্থিতির কথা যদি বলো, আমরা সৈনিকরা বিষপান করেও লড়ছি, অপ্রিয় হচ্ছি।যারা দল, সরকারকে গালমন্দ করছে, পেশা ও সৌজন্যের নামে তাদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করি না।” তিনি আরো লেখেন “উদ্বোধন দুবার হতে পারেনা । উদ্বোধক বদলায় না।এসব টুপি সিনেমায় দিও।আর পরিস্থিতি? আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো। পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসা কারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছো”

মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে সাংসদ পথ ছাড়লেন জহর সরকার

এরপর কুনালের এই পোস্টে দেব নাম না করে একটি গণেশ পূজার ছবি দিয়ে লেখেন “ভগবান আমাদের সবাইকে সৎ বুদ্ধি দিক”। পাল্টা কুনাল ঘোষ গণেশ পুজোর ছবি দিয়ে লেখেন “ভগবান সব দুমুখো সুবিধাবাদীদের মুখোশ খুলে দিক”। দুই নেতার লড়াই থামাতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন “আমার মতে এখন এই সময় প্রত্যেকের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। এই ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে”। এরপর দুই নেতা থেমে যান। দেব এবং কুনালের এই বাগযুদ্ধ চলে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ধরে। আরজিকর হত্যাকান্ডে এমনিতেই তৃণমূল চাপের মুখে তারি মাঝে দলের অভ্যন্তরের দ্বন্দ্ব কি বার্তা বহন করছে? উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর