ব্যুরো নিউজ, ১ নভেম্ববর :আলোর ও আনন্দের উৎসব দীপাবলি। কিন্তু এবার আলোয় রাঙানো আকাশের বদলে দূষণে ছেয়ে গেল বাংলার আকাশ-বাতাস। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল শব্দবাজির তাণ্ডব যা রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র আকার নেয়। প্রতিবছরের মতো এবারও দীপাবলির পর রাজধানী দিল্লির বাতাস বিষাক্ত হয়ে ওঠে। তবে দূষণের মাত্রায় দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিল কলকাতাও।
ট্রেনের টিকিট বাতিল হলে কত টাকা ফেরত পাবেন জানেন কি ?
পুলিশি নজরদারি সত্ত্বেও শব্দবাজির অবাধ ব্যবহার
ভাইফোঁটায় বোনকে উপহার দিন সোনা! দেখে নিন আজকের দাম
কড়া নিয়ম ও পুলিশি নজরদারি সত্ত্বেও শব্দবাজির অবাধ ব্যবহারে দূষণ অস্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির রাতে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে বাতাসের মান সূচক (AQI) বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়। রাত ১১টায় কলকাতার সামগ্রিক AQI ছিল ১৭০। এরপর দূষণ আরও বাড়তে থাকে। রাত ১০:৪৫ মিনিটে রবীন্দ্র সরোবরে AQI ছিল ১৯০, ফোর্ট উইলিয়াম চত্বরে ১৮৩, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ১৮২। এমনকি, বিধাননগরে রাত ১১টা নাগাদ AQI ১৮২ ছুঁয়ে যায়।
শহরের দক্ষিণ ও মধ্যাংশের পরিস্থিতিও ভয়াবহ ছিল। যাদবপুরে দূষণের সূচক ১৮৪, চেতলায় ১৭৮, ঢাকুরিয়ায় ১৬৪ ও বালিগঞ্জে ১৪২ পর্যন্ত পৌঁছায়। কুলিয়া, ট্যাংরা, ওয়াটগঞ্জ এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশেও দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। এছাড়া হাওড়ার বালি, বেলুড় মঠ, ঘুসুড়ি সহ দূষণে পরিচিত এলাকাগুলিতে রাত ১১টার সময়ে AQI ১৫০-১৬০ এর মধ্যে ছিল।
কালীপুজোর উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হলেন তৃণমূল বিধায়ক
দীপাবলিতে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে দিল্লির অবস্থাও সংকটজনক ছিল। রাত ১১টায় দিল্লির আনন্দ বিহারে বাতাসের মান সূচক ছাড়ায় ৫০০ যা একেবারে বিপদসীমা অতিক্রম করে। আইটিও, এয়ারপোর্ট এলাকাতেও AQI ৫০০ ছুঁয়েছিল। তুলনায় রোহিণীতে দূষণের মাত্রা কিছুটা কম হলেও, বাতাসের মান ৪৮৫ ছিল। কলকাতাও পিছিয়ে নেই। রাত ১১টার সময়ে বালিগঞ্জে AQI ৪৮৮, দুর্গাপুরের মহিষকাপুরে ৩৮৫, হাওড়ার ঘুসুড়িতে ৩০৪, এবং যাদবপুরে ছিল ২২৭।