ব্যুরো নিউজ,২৮ জানুয়ারি :২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেট পেশ করা হবে। এটি তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তথা তৃতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হবে। কারণ ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ফলে এবারের বাজেট নিয়ে তীব্র প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে, ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে এবং দু’দিন পরেই বাজেট পেশ হবে, এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বসন্ত পঞ্চমীর পর বুধের গোচরঃ কোন কোন রাশি লাকি হবে জেনে নিন
বিশেষ কিছু ঘোষণা থাকতে পারে?
এবারের বাজেট হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। তাই রাজনৈতিক মহলে এবারের বাজেট নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে, ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখে অনেকের ধারণা, এবারের বাজেটে বিশেষ কিছু ঘোষণা থাকতে পারে। একাধিক সামাজিক প্রকল্পের জন্য আরও বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবা ভাতা, বাংলার বাড়ির মতো প্রকল্পে নতুন বরাদ্দ এবং সুবিধা বৃদ্ধি হতে পারে। এর সঙ্গে নতুন সামাজিক প্রকল্পেরও ঘোষণা হতে পারে।এছাড়া, রাজ্য সরকারের বাজেটে কর্মসংস্থান, পরিকাঠামো, এবং শিল্প খাতে বড় কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাজিমাত করেছিলেন, তার পেছনে মহিলা ভোটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সামাজিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। সেই সফল স্ট্র্যাটেজি ধরে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এবারও নির্বাচনে মুখাবরিত হতে পারে।
এছাড়া, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। গত দু’বারের বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এবারও সেই আশায় অপেক্ষা করছেন কর্মচারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এখন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ ডিএ পান। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৫৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, যা নিয়ে রাজ্য কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
ফোনের বাক্সের পিছনে লুকানো গোপন কোডঃ জানুন কেন এটি জরুরি?
তবে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি, যদি আন্দোলনের মাধ্যমে চাপ বাড়ানো যায়, তাহলে রাজ্য সরকার বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি করতে পারে। এদিকে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্পে নতুন ঘোষণা হলেও, কর্মসংস্থান এবং শিল্প উন্নয়ন নিয়ে বড় ঘোষণা আসবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।