জানুন বিরিয়ানির ইতিহাস।কলকাতার এক্সাইড মোড়ে একটি পুরনো ছ’তলা বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে। এই বাড়িটি কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত, এবং জানা গেছে এটি অন্তত ৫০ বছরের পুরনো। একে একে পাশের একটি আট তলা বাড়ির দিকে দীর্ঘদিন ধরেই হেলে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়ির উপরের অংশ থেকে কখনও কখনও চাঙড় খসে পড়ছে, যা তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
পাকিস্তানে বিতর্কিত সোসাল মিডিয়ায় আইন পাসঃ বাকস্বাধীনতার ওপর নতুন হুমকি
‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, এই বাড়িতে ১০ থেকে ১২টি পরিবার বাস করেন। দোতলায় একটি গেস্ট হাউস রয়েছে, আর নিচের অংশে কয়েকজন ভাড়াটে থাকেন। এছাড়া, উপরের অংশে কিছু পরিবার নিজেদের ফ্ল্যাট কিনে থাকেন। বাড়ির মালিক এই বাড়িতে থাকেন না এবং অনেক আগেই পুরসভা বাড়িটিকে ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা করেছে। তবে অভিযোগ, বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে নারাজ। স্থানীয়দের দাবি, পুরসভা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে পাশের ভবনও নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেখানকার বাসিন্দারাও আতঙ্কে রয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা ভবানীপুর কেন্দ্রে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডটি অবস্থিত, এবং এখানকার কাউন্সিলর হলেন অসীম বসু। তবে, এই বাড়ির পরিস্থিতি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।এদিকে, কলকাতা পুরসভা সম্প্রতি একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার খবর পেয়েছে। কিছু দিন আগে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে একটি চারতলা বাড়ির একাংশ আচমকা ভেঙে পড়ে। এর ফলে, বাড়িটি এক দিকে হেলে পড়ে, তবে তখন বাড়িতে কেউ ছিল না এবং তাই বড় বিপদ এড়ানো গেছে।
বিরিয়ানির ইতিহাস, জনপ্রিয়তা এবং কাচ্চি বিরিয়ানির মজাদার গল্প পড়ুন
ওই বাড়িটি বেআইনি ভাবে নির্মিত হয়েছিল বলে অভিযোগ, এবং পুরসভা ইতিমধ্যে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে। ওই বাড়ির প্রোমোটারকে ঘটনার দু’দিন পর বকখালি থেকে গ্রেফতার করা হয়।এরপর বাগুইআটি, ট্যাংরা, এন্টালি-সহ অন্যান্য এলাকাতেও হেলে পড়া বহুতলের খবর পাওয়া গেছে। পুরসভা জানিয়েছে, এন্টালির ছাতুবাবু লেনে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে রয়েছে। তিলজলার বেদিয়াডাঙা মসজিদবাড়ি বাই লেনেও একটি বাড়ি হেলে রয়েছে। কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই এই বাড়িগুলির প্রতি নজর দিয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ করছে।