হাতিবাড়ি

ব্যুরো নিউজ, ৩০ অক্টোবর :কালীপুজোর সময় আলো আর বাজির মেলায় মেতে ওঠে শহর কলকাতা। তবে আপনি যদি এই কোলাহল থেকে একটু দূরে গিয়ে নিরিবিলিতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কয়েকটা দিন কাটানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে হাতিবাড়ি হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য। ঝাড়গ্রামের অন্তর্গত এই স্থানে রয়েছে শান্ত, সবুজ শালবনের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা সুবর্ণরেখা নদী যা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের সংযোগস্থলে অবস্থিত। একবার গেলে প্রকৃতির এই অনন্য পরিবেশে কাটানো সময় আপনাকে অবসর ও প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দেবে।

  গ্রামে মেঘ নিজে উড়ে আসে এলাকার ঘরে ঘরে। চলুন ঘুরে আসি এমনিই অজানা পালমাজুয়া গ্রামে

ঘুরে আসুন অরণ্যঘেরা হাতিবাড়ি

দু’দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন জঙ্গল, পাহাড় ও ঝরনার সৌন্দর্যে ভরা দুয়ারসিনি

হাতিবাড়ির চারদিকে শালগাছের সারি এক নির্মল প্রশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি করেছে । সেখানে শোনা যায় বন্য হাতির ডাক যা এই অভিজ্ঞতায় আনে আরেক মাত্রা। এক থেকে দু’দিনের এই সংক্ষিপ্ত সফরে আপনি ঘুরে নিতে পারেন কাছেই অবস্থিত ঝিল্লি পাখিরালয়। শীতের শুরুতেই এখানে বহু পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে। যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে।

কলকাতা থেকে ট্রেনে ঝাড়গ্রামে পৌঁছানো বেশ সহজ। হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রামগামী এক্সপ্রেস বা লোকাল ট্রেনে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায় ঝাড়গ্রামে। সেখান থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে সড়কপথে হাতিবাড়ি পৌঁছানো যায়। সব মিলিয়ে এই নিরালা পরিবেশ আপনাকে এনে দেবে কালীপুজোর সময়ের শহুরে কোলাহল থেকে মুক্তি এবং প্রকৃতির গভীর সৌন্দর্যের এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা।

জঙ্গলে বন্য পশুপাখি দেখার শখ যদি থাকে, শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন ওড়িশার সিমলিপাল।

হাতিবাড়িতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বনোন্নয়ন নিগমের পরিচালিত একটি সুসজ্জিত বাংলো, যেখান থেকে সুবর্ণরেখার মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। এটি পূর্বেই অনলাইনে বুকিং করা যায় যা ভ্রমণের পরিকল্পনায় এনে দেয় নিশ্চিততা।দু এক দিনের ছুটিতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন প্রকৃতির কোলে থাকা সবুজে ঘেরা নির্মল শান্ত পরিবেশে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর