ইমোশনাল ক্ল্যারিটির ভূমিকা

ব্যুরো নিউজ, ২৭ জানুয়ারি:সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শারীরিক প্রদাহ এবং বিষণ্নতার মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে, যা মানব মনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণাটি বলছে যে, কম এমোশনাল ক্ল্যারিটি বা অনুভূতির সঠিক ধারণা বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে, এবং এর সাথে যুক্ত রয়েছে শরীরের প্রদাহের মাত্রা। এই গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, প্রদাহ শরীরের মধ্যে মানসিক অবস্থা ও অনুভূতির দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে।বিষণ্নতা একটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং কখনও কখনও এটি মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে। যারা বিষণ্নতায় ভোগেন, তারা অধিকাংশ সময় হতাশা, দুঃখের অনুভূতি এবং আগের আনন্দদায়ক কাজগুলোতে আগ্রহ হারান। বিষণ্নতা একটি মানসিক অবস্থা যা মানব মনের গভীরে প্রবেশ করে এবং দেহের শারীরিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

অরিজিৎ সিং এর পদ্মসম্মান পাওয়া নিয়েই কি সোনু নিগমের বিস্ফোরক মন্তব্য? 

গবেষণার ফলাফল

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ব্রেইন বিহেভিয়ার অ্যান্ড ইমিউনিটি’ জার্নালে, যেখানে বলা হয়েছে যে, কম এমোশনাল ক্ল্যারিটি বা অনুভূতির সঠিক বোঝাপড়া বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া, যারা উচ্চ প্রদাহের স্তরে ভুগছেন, তাদের মধ্যে এই মানসিক মুঘলাবাজি বা ‘এমোশনাল ক্ল্যারিটি’ এর অভাব আরও বেশি দেখা যায়। এটি একটি চক্র, যেখানে প্রদাহ পরোক্ষভাবে বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।এমোশনাল ক্ল্যারিটি বা অনুভূতির সঠিক বোঝাপড়া মানে হচ্ছে নিজের অনুভূতিগুলি ভালোভাবে বুঝতে পারা, তা চিহ্নিত করা এবং সেগুলো প্রকাশ করার ক্ষমতা। বিষণ্নতা নিয়ে যারা ভুগছেন, তারা সাধারণত তাদের অনুভূতি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে বা চিহ্নিত করতে পারেন না। এ কারণে তারা তাদের মানসিক অবস্থা থেকে বের হতে পারছেন না। এভাবে, যখন একজন ব্যক্তি তাদের অনুভূতিগুলি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন না, তখন তা তাদের মানসিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার ওপর চাপ সৃষ্টি করে।গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৩৭% মানুষের মধ্যে যারা কম এমোশনাল ক্ল্যারিটি এবং উচ্চ প্রদাহের স্তরে ছিলেন (যেমন: ইন্টারলিউকিন-৬ এবং সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন), তাদের মধ্যে বিষণ্নতার তীব্রতা পরবর্তীতে বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। এটি দেখায় যে, যারা তাদের অনুভূতি ভালোভাবে বুঝতে পারেন না, তাদের জন্য প্রদাহের প্রভাব বিষণ্নতার ওপর আরও বেশি হতে পারে।

ভাঙ্গরে আবারো অস্ত্র উদ্ধার, আতিয়ার মোল্লা গ্রেফতার

এই গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি বলছে যে, ভালোভাবে অনুভূতি বুঝতে পারলে শারীরিক এবং মানসিক প্রদাহের প্রভাব কমানো সম্ভব। অর্থাৎ, যদি একজন ব্যক্তি তার অনুভূতিগুলিকে ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সেগুলি একত্রিত করতে পারে, তাহলে তা তার মানসিক অবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে পারে এবং প্রদাহের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।এটি পরিষ্কার যে, এমোশনাল ক্ল্যারিটি মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন শরীরের প্রদাহ বৃদ্ধি পায়, তখন তা মানসিক অবস্থা এবং অনুভূতি সামলাতে আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, অনুভূতি বুঝতে পারলে, এবং নিজেদের অনুভূতিগুলিকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারলে, প্রদাহের শারীরিক প্রভাব মানসিকভাবে কমানো সম্ভব।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর