ব্যুরো নিউজ,৮ মার্চ:ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই তাঁর উপদেষ্টা ইলন মাস্ক ও আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর মধ্যে তীব্র বিতর্ক হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সরকারি কর্মীদের ওপর মাস্কের খবরদারির বিষয়ে আপত্তি জানান রুবিও ও অন্যান্য কর্মকর্তারা, যার জেরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
সোনা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার কন্নড় অভিনেত্রীঃ ফাঁসানো হচ্ছে নাকি সত্যিই জড়িত তিনি?
🔹 ট্রাম্পের বক্তব্য: বিতর্ক হয়নি!
তবে শুক্রবার রাতে ট্রাম্প এই খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি,
- “আমি সেখানে ছিলাম, কোনও বাদানুবাদ হয়নি।”
- “মাস্ক এবং রুবিও দু’জনেই তাঁদের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন।”
🔹 বিতর্কের কারণ কী?
মাস্ক, যিনি দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক দফতরের (DOGE) প্রধান, সম্প্রতি ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মচারীকে ইমেল পাঠিয়ে তাঁদের কাজের হিসাব চাইতে বলেন।
- তিনি নির্দেশ দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীদের জানাতে হবে, গত সপ্তাহে কী কী কাজ করেছেন।
- উত্তর না দিলে ধরে নেওয়া হবে, তাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে চান।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়, কারণ সরকারি কর্মীদের এভাবে হুমকি দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার মাস্কের নেই।
🔹 রুবিওর আপত্তি ও মাস্কের পাল্টা তোপ
বৈঠকে রুবিও সরকারি ছাঁটাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন,
- “ওপিএম (অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট) কে এড়িয়ে মাস্ক কীভাবে সরাসরি সরকারি কর্মীদের ইমেল পাঠালেন?”
- “এই ধরনের সিদ্ধান্তের কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই।”
এর জবাবে মাস্ক বিদেশ দফতরের ‘অতিরিক্ত খরচের’ প্রসঙ্গ তোলেন এবং দাবি করেন,
- “প্রথম ৪৫ দিনে ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশ দফতরের কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করেনি।”
কিন্তু রুবিও এই দাবি খারিজ করে জানান, ইতিমধ্যেই বিদেশ দফতরের প্রায় ১৫০০ কর্মী আগাম অবসরের আবেদন করেছেন!
উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়ারা কি সময়মতো বই পাবে? প্রকাশকদের উদ্বেগ
🔹 ট্রাম্পের ছাঁটাই নীতি: ‘কুড়ুল’ নয়, ‘স্ক্যালপেল’!
বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার ট্রাম্প স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলবে।
তবে তাঁর বক্তব্য,
- “আমরা কুড়ুল ব্যবহার করব না, বরং স্ক্যালপেল (অস্ত্রোপচারের ছুরি) দিয়ে সূক্ষ্ম পরিবর্তন আনব।”
এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সরকারি কর্মীদের ওপর প্রশাসনের চাপ আরও বাড়তে চলেছে।