ব্যুরো নিউজ,২৬ আগস্ট: গত 15 ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে ঝাড়গ্রামে একটি স্ত্রী অন্ত:সত্তা হাতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যজুরে ভীষণ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল বনদপ্তর ।পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। স্বাধীনতা দিবসের দিন ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকে পড়া হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর সময় হুলা পার্টির জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই স্ত্রী হাতিটির। তারপর থেকে চলছে ঝাড়্গ্রামে হাতির হানায় পরপর মৃত্যুর ঘটনা। তাহলে কি এবার হাতিরা তাদের পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে ?
নির্লজ্জ তৃণমূল নেতা!পড়ুয়াদের প্রতিবাদ মিছিলের স্লোগানে “দাদাগিরি”
১০ দিনে মোট চারজনের মৃত্যু হাতির হানায়
ঝাড়গ্রামে ১০ দিনে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে হাতির হানায়। পেশায় গাড়িচালক স্বপন মাহাতো শনিবার রাত্রে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় গ্রামের একটি চকের কাছে হাতির সামনাসামনি পড়ে যান তিনি। হাতিটি তাকে শুঁড়ে করে পেঁচিয়ে আছাড় মেড়ে পা দিয়ে পিষে দেয়। তার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে এবং তাকে স্থানীয় ঝাড়্গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর বন বিভাগের অধীন সাঁকরাইল থানার তুঙ্গাধুনা গ্রামে।
কীর্তিমান পুলিশের কান্ড দেখুন!আরজি কর প্রতিবাদ মিছিলেই মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বপন মাহাতোর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। স্বপনের মৃত্যু যেই হাতেটির দ্বারা হয়েছে সেই হাতিটি পথ ভুলে তুঙ্গাধুনা গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়জায়ি।বেশ কয়েকদিন ধরে।প্রসঙ্গত, গত 15 ই আগস্ট ঝাড়গ্রাম শহরে মোট পাঁচটি হাতির দল ঢুকে পড়েছিল । সেই হাতির দলগুলির হানাতে মৃত্যু হয় অনুপ মল্লিক,চাঁদ খিলাড়ি এবং খগেন পাতর নামে মোট তিনজন ব্যক্তির। এবার প্রাণ গেল স্বপন মাহাতোর। অর্থাৎ মোট ১০ দিনে চারজন ব্যক্তির প্রাণ গেল হাতির হানায়।