রাজ্যে শিক্ষার মানে অবনতির চিত্র

ব্যুরো নিউজ,২৯ জানুয়ারি :বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বেসরকারি সংস্থার শিক্ষা রিপোর্টে এ রাজ্যের শিক্ষার অবস্থা নিয়ে কিছু চিন্তাজনক তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া প্রায় ৫.২ শতাংশ ছাত্র বাংলা অক্ষরও চিনতে পারে না। ১৬.৪ শতাংশ ছাত্র অক্ষর পড়তে পারলেও, শব্দ পড়তে পারছে না। অঙ্কের ক্ষেত্রেও চিত্র তেমনই। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া প্রায় ৪.৪ শতাংশ ছাত্র ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাও চিনতে পারে না। এবং প্রথম শ্রেণির প্রায় ১৪.৩ শতাংশ ছাত্রের এই সমস্যা রয়েছে।

কলকাতা মেট্রো অ্যাপে নতুন সুবিধাঃ পরিষেবা হাল-হকিকতও জানা যাবে এখন!

কি কি কারণ রয়েছে?

এই পরিস্থিতির জন্য শিক্ষক সংকট, ছুটির বাড়াবাড়ি এবং দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার মতো কারণকে দায়ী করছেন অনেক শিক্ষক।এছাড়াও, সরকারি স্কুলের কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করেছে। গত কয়েক বছরে, বিশেষত করোনার পর শিক্ষার মানের অবনতি হয়েছে। ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণির মাত্র ৩২.৬ শতাংশ ছাত্র দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই পড়তে সক্ষম ছিল, ২০২৪ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৩৪ শতাংশ হয়েছে। তবে, যাদের অঙ্ক শেখার সক্ষমতা ছিল, তাদেরও পরিস্থিতি উন্নত হয়নি।

পঞ্চম শ্রেণিতে ভাগ অঙ্ক করতে সক্ষম ছিল মাত্র ৩৪.৩ শতাংশ ছাত্র। যদিও শিক্ষকেরা জানিয়েছেন যে, করোনার পর পরিকাঠামো ও শিক্ষার মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।এছাড়াও, স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়েও এই রিপোর্টে উঠে এসেছে তথ্য। ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছাত্রদের মধ্যে ৮৪.৪ শতাংশের বাড়িতে স্মার্টফোন রয়েছে এবং ৬৬.৬ শতাংশ পড়ুয়া সেটি পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু সেই ফোন ব্যবহারের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ডিজিটাল ক্লাসের প্রচারণা থাকলেও, অধিকাংশ স্কুলেই কম্পিউটার নেই।

গুলেন বারি সিনড্রোমের বলি আরও এক, এবার বাংলায় মৃত্যু এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

৯৫.৩ শতাংশ স্কুলে কম্পিউটার সরঞ্জাম নেই।তবে, মিড-ডে মিল এবং অন্যান্য সহায়ক পরিষেবাগুলি অনেকটাই ভালো ফলাফল দিয়েছে। ৮৪.৯ শতাংশ ছাত্র মিড-ডে মিল পাচ্ছে, ৭৫.৫ শতাংশ স্কুলে পানীয় জল রয়েছে এবং ৮২.৩ শতাংশ স্কুলে শৌচালয় রয়েছে। কিন্তু, মেয়েদের জন্য আলাদা শৌচালয় অনেক স্কুলে অনুপস্থিত বা অযত্নে পড়ে আছে।সবশেষে, ছাত্র ভর্তি নিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে ৮৯.৬ শতাংশ ছাত্র সরকারি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, যা বেসরকারি স্কুলের তুলনায় অনেক বেশি। সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক ভালো, যদিও ২০২৪ সালে তা কিছুটা কমেছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর