ব্যুরো নিউজ, ১৫ ডিসেম্বর: ED-র বিস্ফোরক দাবি! কাকুর অসুস্থতা বানানো গল্প
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এর আগে বারবার ইডি প্রশ্ন তুলেছে, কালীঘাটের কাকু কতটা অসুস্থ সেটাই তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। কাকুর ম্যাডিক্যাল রিপোর্টে ছিলনা সিএবিজি গ্রাফ্ট ভেসেল (CABG GRAFT VESSLE)-এর রিপোর্ট। হার্টের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্টেই বোঝা যাবে ঠিক কতটা অসুস্থ কাকু। এমনকি সেই ‘বিশেষ’ রিপোর্টটি চেয়ে এসএসকেএমকে চিঠিও দেয় ইডি।
ধর্নায় বেড়েছে বয়স | চাকরি মিলবে তো?
তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে চায় ইডি। ইডির হাতে আসা একটি অডিয়ো ক্লিপের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চায় ইডি। কিন্তু ২ মাস বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ দেখানোয় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় আরও একবার ওঠে সেই প্রশ্নই।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল আজ। কাকুর অসুস্থতাকে ‘বানানো গল্প’ বলেই মনে করছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে এবং তাঁকে জামিন না দেওয়া বিষয় উল্লেখ করে রিপোর্ট জমা দেবে ইডি।
পাল্টা কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, বাইপাস সার্জারি হওয়ার পর তাঁকে যেদিন জেলে পাঠানো হল, তাঁর বমি শুরু হয়। মেডিকেল গ্রাউন্ডে তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
ইডির তরফে বলা হয়, ‘আদালতের নির্দেশের পরও আজ পর্যন্ত ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করতে পারিনি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। যেদিন ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার ছিল, তার আগের দিন রাতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কাকুকে শিফট করে দেওয়া হলো আইসিইউয়ে। অসুস্থতা বানানো গল্প। উনি সুস্থ আছেন।’ আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি। ইভিএম নিউজ