ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:২ অক্টোবর মহালয়া, কিন্তু কলকাতার পুজোর আবহ এবার যেন কিছুটা মলিন।আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব এখনও স্পষ্ট। সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ এবং উৎসাহ অনেকটা ফিকে। উৎসবের পরিবর্তে আন্দোলনের দিকে ধাবিত হচ্ছে শহরের একাধিক পুজো কমিটি।অনেকেই উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন, আর কোথাও বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি, পুজোর আয়োজন করা হলেও কার্যকরীভাবে তা সম্পন্ন করা হবে কিনা, তা নিয়েও উদ্যোক্তারা নিশ্চিত নয়।
ধর্মতলায় চিকিৎসকদের মশাল মিছিলঃ আরজি কর ঘটনার সুবিচারের দাবি
দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি
এ বছর কলকাতায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি অনেকটাই অনুপস্থিত। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন চলছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও প্রতিবাদের আয়োজন হচ্ছে। এই অবস্থায়, পুজোর জাঁকজমক আয়োজন করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ফলে, উৎসবের আয়োজনকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে কাঁটছাঁটের পথে হাঁটছেন বিভিন্ন পুজো কমিটি।উত্তরের গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা মান্টা মিশ্র জানিয়েছেন, এবার পুজোর উদ্বোধনে কোনো বিশিষ্টজনকে ডাকা হবে না। তিনি বলেন, “পরিবেশ এবং পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা এ বছর উদ্বোধনের জৌলুস বাতিল করছি।” কুমোরটুলি পার্কের উদ্যোক্তারা একই পথে হাঁটছেন। সেখানে প্রতি বছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তবে এবার বাইরের শিল্পীদের নিয়ে উদ্বোধন করা হচ্ছে না। অনুপম দাস, একজন উদ্যোক্তা, জানান, “সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমিতভাবে সবকিছু করব।”অন্যদিকে, খিদিরপুর ৭৫ পল্লির উদ্যোক্তাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। কিছু উদ্যোক্তা পুজো এবং বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত, আবার কেউ মনে করছেন, পুজো সামাজিক অবস্থার ঊর্ধ্বে।
ত্রিপুরায় মাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, দুই পুত্র গ্রেফতার
দক্ষিণ কলকাতার শিবমন্দির সর্বজনীন পুজো নিজের মত করে বার্তা দিতে চাইছে। উদ্যোক্তা পার্থ ঘোষ বলছেন, “সুরক্ষা না আত্মরক্ষা— এই প্রশ্নে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। মেয়েদের আত্মরক্ষায় দক্ষ হতে হবে। আমরা পুজোয় ক্যারাটে প্রশিক্ষণের আয়োজন করব।”অন্যদিকে, হাতিবাগান সর্বজনীনের শাশ্বত বসু বলেন, “এটা পুজো কমিটিগুলির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। পুজোর প্রস্তুতি চার মাস আগে থেকেই শুরু হয়, তাই সব কিছু এক সঙ্গে বন্ধ করা সম্ভব নয়।”