ব্যুরো নিউজ,২১ সেপ্টেম্বর:দুর্গাপুজো বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে আবেগ, এবং এই উপলক্ষে গায়ক শানও প্রতিবছর নতুন গান নিয়ে হাজির হন। কিন্তু এবছরটা একটু ভিন্ন। গোটা বাংলা যখন আরজি কর কাণ্ডে ব্যথিত, তখন সেই যন্ত্রণা অনুভব করছেন শানও। তাই তিনি এই বছরের দুর্গাপুজো উপলক্ষে একটি বিশেষ গান নিয়ে এসেছেন, নাম ‘দুর্গতিনাশিনী’। এই গানটি কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের নির্যাতিতা তরুণীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
পুজোর আগে মেট্রোতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে
‘দুর্গতিনাশিনী’
গানটির সুর দিয়েছেন শান নিজেই, এবং তার হুক লাইন “ঘরে ঘরে দুর্গা আসুক, দুর্গতিনাশিনী” শুনলেই শরীরে শিহরণ জাগে। গত ৯ই আগস্ট, কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে ৩১ বছর বয়সী এক চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়। এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, আর সে কারণে শান প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই গান গেয়েছেন।শান বলেন, ‘এই জঘন্য ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে নারীরা, ন্যায়বিচারের জন্য যেভাবে আন্দোলন করছেন, তাতে আমি হতাশা অনুভব করছি।’ তিনি জানান, ‘এই গানটি আমার কাছে আশা ও আশ্বাসের প্রতীক। যে মা দুর্গা দুষ্টের দমন করবেন এবং প্রতিটি নারীই দুর্গতিনাশিনী।’
টলিউডের শিশুশিল্পী অরিত্রের সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপ্রেশন; দেবের দিকে তির্যক মন্তব্য!
অন্যদিকে, শান জানিয়েছেন, সাধারণত আনন্দ উদযাপনের গান বাঁধেন, কিন্তু এবারের অনুভূতি ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘আনন্দ পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অনুভূতি নয়।’ কিংবদন্তি কবি রাজীব চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে গানটি লিখতে সাহায্য পেয়েছেন। গানটির কম্পোজিশনের প্রক্রিয়া নিয়ে শান বলেন, “ ‘কিছুটা অসুবিধা হলেও, যখন আমি গানটির লাইনগুলো গুনগুন করতে থাকলাম, সবকিছু সঠিকভাবে দাঁড়িয়ে গেল।’শান এ বছর দুর্গাপুজোর জন্য কোনও বাণিজ্যিক স্টেজ শো করবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শান যোগ করেন, ‘সংগীতশিল্পী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।’ দুর্গা মাতার অনুপ্রেরণায় এই কাজটি করতে পেরে তিনি গর্বিত।শানের ‘দুর্গতিনাশিনী’ গানটি সমাজে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি প্রয়াস, এবং আমরা আশা করি এই গানটির মাধ্যমে আরও মানুষ বিষয়টি নিয়ে ভাববেন।