ব্যুরো নিউজ, ৩০ সেপ্টেম্বর :রবিবার কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন লেগেছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর ক্ষোভ বেড়ে যায়। যা সাগর দত্তর ঘটনা দ্বারা আরও উসকে দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা আবারও সড়কে নেমে এসে মৃত মহিলা চিকিৎসকের খুনের বিচার এবং রাজ্যের সব হাসপাতালের নিরাপত্তার দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাগরিক সমাজের সদস্যরাও।
মহালয়া আসছে, কিন্তু কলকাতার পুজোর রং কি বদলে যাচ্ছে?
প্রতিবাদের আগুন রাস্তায়
দুর্গাপুজোর মণ্ডপ অপবিত্র করার অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
সন্ধ্যা নামতেই শহর জুড়ে মশাল ও মোমবাতির আলো জ্বলতে থাকে। আরজি কর হাসপাতাল থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শ্যামবাজারে এসে পৌঁছায়। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিবাদী ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, যিনি বলেন, ‘ সাগর দত্তের মতো ঘটনার পর মনে হচ্ছে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আপস করা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর পূর্ণ কর্মবিরতির পথে হাঁটতে বাধ্য হব’।
সৌমিতৃষার জীবনের নতুন মোড়: বন্ধুত্ব থেকে অভিনয়ে জয়!
অন্যদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের মিছিল ডানলপ পর্যন্ত পৌঁছায়। একজন জুনিয়র ডাক্তার মন্তব্য করেন, ‘ মৃত মহিলা চিকিৎসকের খুনের ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তা এখন পাইনি। তাই আবারও আমাদের পথে নামতে হল’।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল ধর্মতলার দিকে এগোতে থাকে। এসএসকেএম এবং এনআরএস হাসপাতাল থেকেও মিছিলগুলি ধর্মতলাতে মিলিত হয়। পুজোর আগে এই ধরনের প্রতিবাদের ছবি কলকাতার ইতিহাসে বিরল।
ভারতীয় মেয়েদের বিশ্বকাপে জয়যাত্রা,হরমনপ্রীত কৌরের টিমের প্রত্যাশা
গড়িয়াহাটে মিছিল চলাকালীন, বাজারে কেনাকাটা করতে আসা অনেক মানুষও প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের স্লোগান শোনা যায়, যা স্পষ্ট করে দেয় যে পুজোর আনন্দের সঙ্গে প্রতিবাদেরও কোনও বিরোধ নেই। বরং, যে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজকে আরও জোরালো করা উচিত।