ব্যুরো নিউজ,৪ সেপ্টেম্বর :রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে নতুন ধরনের দাদাগিরি শুরু করেছিলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। তার বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের বিভিন্ন সময়ে রীতিমতো থ্রেট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। হুমকি দেওয়ার সঙ্গে বিরূপাক্ষর নাম একেবারে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিল। যেকোনো মেডিক্যাল কলেজে ফোন করে চিকিৎসক পড়ুয়া সহ জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর থ্রেট কালচার শুরু করেছিলেন এই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস।
Rg Kar News:সন্দীপ ঘোষের সাথে গ্রেফতার আরও তিন জন
বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের:
এ কি বললেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলী?
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে আসে আরজিকর ঘটনা পরে। আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পরেই বহু চিকিৎসক এবং প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসতে দেখা যায়। আর সেই তালিকাতেই নাম উঠে আসে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের।ইতিমধ্যেই বিরূপাক্ষর দাদাগিরি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তা বোঝা যায় সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল অডিও থেকে। সেখানে শোনা যায় তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমকি দিচ্ছেন। (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইভিএম নিউজ) আর তার নামে এই দাদাগিরির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলার পরেও চুপ ছিল রাজ্য সরকার। এবার আরজিকর কাণ্ডের পরে রীতিমতো চাপে পড়ে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ।
“দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার” ফেরত প্রবীণ নাট্যকার চন্দন সেনের
বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলার CMOH- এর অফিস ঘেরাও করে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়া জুনিয়র ডাক্তারদের উপর এই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস থ্রেট কালচার শুরু করেছিলেন। কাকদ্বীপে তিনি যোগদান করলে এখানেও দাদাগিরি শুরু করতে পারেন। আর সেই কারণেই কোনোভাবেই কাকদ্বীপ হাসপাতালে যোগদান করতে দেবেন না বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ ব্যর্থ তাই CISF, লজ্জায় লাল নবান্ন, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র
এই প্রসঙ্গে এক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, ২০২৩ সালে বিরূপাক্ষর অর্ডার এসেছিল। তখন নিজের প্রভাব খাটিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গিয়েছিলেন। এখন যখন চারিদিকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে ওনার বিরুদ্ধে, তখন উনি ট্রান্সফার নিতে বাধ্য হয়েছেন। গাইনো ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন HOD ম্যাডামকে থ্রেট দিয়েছিলেন এই বিরূপাক্ষ। ফলে উনি যদি এখানে আসেন, সেই সম্পর্ক কিভাবে ঝালিয়ে দিতে হয় আমরা জানি। যতক্ষণ না অর্ডার ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের অবস্থান চলবে। এভাবেই বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে।