ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:রবিবার রাতে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা মশাল হাতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করলেন। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আরজি কর কাণ্ডে নিহত ডাক্তার-ছাত্রীটির সুবিচার না হলে তারা পুজো উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন না। ঘটনার ৫০ দিন পরেও সুবিচার পাওয়া যায়নি।এই মশাল মিছিলটি ছিল সেই ক্ষোভ প্রকাশেরই এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
ত্রিপুরায় মাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, দুই পুত্র গ্রেফতার
“গত ৫০ দিনে আমরা কী পেলাম?”
রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ধর্মতলা চত্বর মশালময় হয়ে ওঠে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং এসএসকেএমের জুনিয়র চিকিৎসকেরা একসঙ্গে মশাল হাতে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা রাজপথে বড় বড় অক্ষরে লিখছেন, “তিলোত্তমা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।” স্লোগানের মধ্যে দিয়ে পুজোর সময় প্রতিবাদ এবং রাতের দখলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।এসএসকেএমের চিকিৎসক-পড়ুয়া দেবলীনা দলুই বলেন, “গত ৫০ দিনে আমরা কী পেলাম? বিচার প্রক্রিয়া তো দীর্ঘ হবে, কিন্তু দোষীদের গ্রেফতার করতে তো হবে। কোথায় সেই তৎপরতা?” তার এই কথায় উঠে আসে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, “এখনও ধর্ষকেরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা উৎসব কিভাবে পালন করব?”
মহালয়ার আগে শহরের বাজারে ভিড়ঃ কেনাকাটার উন্মাদনা
আন্দোলনকারী অন্য একজন বলেন, “শুধুমাত্র টালা থানার প্রাক্তন ওসি নন, আরও অনেক পুলিশ এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কেন অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে?” সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের ঘটনার শুনানি হতে চলেছে। তারা আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।এই সময়, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়ারাও ধর্মতলায় পৌঁছান। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে মশাল এবং মোমবাতি ছিল। এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি বৃহত্তর মানববন্ধন গঠন করা হয়। কিছুক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পর তারা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মানববন্ধন শেষ করেন।