ব্যুরো নিউজ, ৪ ডিসেম্বর : মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার লোকাল ট্রেনে চেপে ডায়মন্ড হারবার যাচ্ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী চিকিৎসক সঙ্গীতা পাল। সোনারপুর স্টেশন থেকে সুভাষগ্রাম স্টেশনের কাছে ট্রেন ঢোকার সময় আচমকা ট্রেনের দরজা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সঙ্গীতার বাড়ি আনন্দপুর থানার মাদুরদহ এলাকায়। তার বাবা অলোক পাল পেশায় শিশুরোগ চিকিৎসক। সঙ্গীতা ও তার বাবা সপ্তাহে ৩-৪ দিন ডায়মন্ড হারবারে রোগী দেখতে যেতেন এবং তারা একসঙ্গে ট্রেনে চড়তেন।
ঘুটিয়ারি শরিফে ২ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
মানসিক অবসাদে ভোগার কারনেই আত্মহত্যা তরুণীর

এদিনও বাবা-মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনে ছিলেন। অলোক পাল বসে ছিলেন ট্রেনের আসনে পরিচিতদের সঙ্গে গল্প করছিলেন আর সঙ্গীতা দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেনের দরজার কাছে। আচমকা ট্রেন সোনারপুর ছাড়ার পর সঙ্গীতা ঝাঁপ দিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। সুভাষগ্রাম স্টেশনে ট্রেন থামার পরে অলোক ও কয়েকজন অন্য যাত্রী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে ততক্ষণে সঙ্গীতার মৃত্যু হয়ে যায়। রেল পুলিশ এসে তার দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয়।
চা বাগানে মিলল চিতাবাঘের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য কালচিনিতে
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন সঙ্গীতা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসাও চলছিল। পুলিশের ধারণা অবসাদের কারণে সঙ্গীতা আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবা জানিয়েছিলেন মেয়ে কিছুদিন ধরে বিষণ্ন ছিলেন এবং তার চিকিৎসাও চলছিল। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।