ব্যুরো নিউজ,১৮ অক্টোবর:একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় চিকিৎসক তপোব্রত রায় একটি ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ পরে ডিউটিতে যান, পরে সেটি বিতর্কের সৃষ্টি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্নিভালে তিনি একটি টি শার্ট পরেছিলেন, যার উপরে লেখা ছিল “শিরদাঁড়া বিক্রি নেই”। সেই সঙ্গে একটি ব্যাজ ছিল, যাতে লেখা ছিল “প্রতীকী অনশনকারী”। এই কারণে ময়দান থানার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন)-এর চাপের কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এনডিএ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীঃ সুশাসন ও উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতি
কেন তিনি এমন ব্যাজ পরেছিলেন?
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুরসভা মহা অস্বস্তিতে পড়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক জানান, তিনি ব্যাজ পরে কোনও অন্যায় করেননি এবং আগামীতে তিনি আবারও সেই ব্যাজ পরেই ডিউটি করবেন। পুরসভার চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনটি দাবি পেশ করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা পুলিশকে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একজন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছিল।পাশাপাশি, তারা দাবি করেছেন যে পুরসভা অভিযুক্ত চিকিৎসককে আইনি সহায়তা দিতে বাধ্য। এই ঘটনার নিন্দা করে পুরসভা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে পুরসভার সকল চিকিৎসক ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা ব্যাজ পরে ডিউটি করবেন।
ঋষভ পন্তের চোট নিয়ে রোহিত আশাবাদীঃ মাঠে ফেরার সম্ভাবনা কি রয়েছে ঋষভের?
পুরসভা এই ঘটনার কারণে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। যদিও চিকিৎসককে শাস্তি দিলে অন্য চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে, তাই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। পুরসভা জানে যে চিকিৎসকরা তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য অপরিহার্য। যদি চিকিৎসকরা প্রতিবাদে সামিল হন, তবে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।ঘটনাটি ঘটে রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভাল এবং রেড রোডে সরকারি কার্নিভাল চলাকালীন। ডিউটিতে থাকা অবস্থায় তিনি প্রতীকী অনশনের ব্যাজ পরেছিলেন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি তিনি সংহতি প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। তারা জানতে চায় কেন তিনি এমন ব্যাজ পরেছিলেন।