ব্যুরো নিউজ,৩০ জানুয়ারি :যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি ল কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলি ও তাঁর সহযোগীরা পুজো করতে বাধা দিচ্ছে। একদিকে, কলেজের ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন যে পুজো করার সময় তাঁদের মারধর ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এক অভিযোগকারী বলেন, “এরা বাইরের গ্রুপ। তোলাবাজি করছে এবং আমাদের সরস্বতী পুজো করতে দিতে চাইছে না। তারা আমাদের মারধর ও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে।” অন্য এক অভিযোগকারী আরও বলেন, “পুজো করার অধিকার তো সবার আছে, তাহলে কেন আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে? বলছে, পুজো করলে আনোয়ার শা দিয়ে মেরে ফেলবে।”
নবাব পরিবারের ওপর আঘাতঃ সইফ-করিনার নিরাপত্তা চরমে
বিতর্ক শুরু
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে এই বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে, ল কলেজের পড়ুয়ারা চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও, অভিযুক্ত সাব্বির আলির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।একাধিকবার সাব্বিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন তোলেননি। সাব্বিরের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে, কিন্তু তারপরও সে লাগাতার তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় জানিয়েছেন, “গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এরা আমাকে পুজো করতে না দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং টাকা চাইছে। আমি প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু তারা একটুও মানছে না। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা আমি জানি না।”এছাড়া, তিনি জানিয়েছেন যে, গর্ভানিং বডি কলেজে পুজো করার জন্য নির্দিষ্ট টাকা দিয়েছিল, কিন্তু তাও কোনো কাজে আসেনি। অধ্যক্ষ জানান, তিনি ভারত সরকারের কাছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ঋদ্ধিমান সাহার ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ অধ্যায়ঃ এক কিংবদন্তির বিদায়
কলেজের পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে যে, অধ্যক্ষ নিজে সাব্বির ও তাঁর দলের আতঙ্কের কারণে কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর কথায়, “আমার সামনে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে আমি কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছি। একদিকে রাজনীতি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক চাপ। সবকিছুই ঘুরে দাঁড়িয়েছে পয়সার দিকে।”এই পরিস্থিতিতে কলেজে সরস্বতী পুজো পালনের জন্য পড়ুয়াদের অধিকার দাবি করা হচ্ছে। তবে, সাব্বির আলি এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগগুলি নিয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।