ব্যুরো নিউজ, ২৭ নভেম্বর : ফুটবলই তার জীবনের একমাত্র প্রেম। দিমিত্রি পেত্রাতোসের জীবনে কখনও ‘প্ল্যান বি’ ছিল না। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি তার প্যাশন এতটাই গভীর যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ফুটবল কেন্দ্রিক। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিক বংশোদ্ভূত এই তারকা বর্তমানে ভারতের অন্যতম সেরা ফুটবলার। মোহনবাগানের হয়ে খেলার সময় তিনি অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। শুধুমাত্র নিজের দক্ষতায় নয় বরং মাঠে তার নিবেদিত প্রাণ পারফরম্যান্সের জন্য।
যৌনতা কেবল শরীর নয়, যৌনতা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়
মেসির সঙ্গে খেলতে চান দিমিত্রি
দিমিত্রির পরিবারে ফুটবল ভালোবাসা রক্তে মিশে আছে। তার বাবা অ্যাঞ্জেলো ছিলেন সিডনি অলিম্পিক এফসি-র ডিফেন্ডার। দুই ভাই ও দুই বোনও খেলেছেন বিভিন্ন স্তরে। পরিবারের এই ফুটবল ঐতিহ্যের কারণেই ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ছাড়া আর কিছু ভাবেননি দিমিত্রি। হোটেল থেকে বেরিয়ে শিশুদের সঙ্গে রাস্তার ফুটবল খেলতেও দেখা যায় তাকে। তার মতে ফুটবল শুধুমাত্র খেলা নয় বরং এটি জীবনের শিক্ষা দেয়।মোহনবাগানের হয়ে খেলা দিমিত্রি পেত্রাতোস গত মরসুমে ১০ গোল করে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এবারের আইএসএলে নতুন সতীর্থদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগলেও তিনি আত্মবিশ্বাসী যে দলগত পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে। তার মতে “গোল করাই একমাত্র লক্ষ্য নয় দল হিসেবে ভালো খেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।মেসির সঙ্গে খেলতে চান দিমিত্রি। তিনি বলেন, “মেসি এখন পিছন থেকে খেলেন, তাই গোলের পাস পাব। রোনাল্ডোর সঙ্গে খেললে আমাকে বলের জোগান দিতে হবে।” হাসি দিয়ে বললেও তার কথায় ফুটে ওঠে মেসির সঙ্গে খেলার প্রতি আগ্রহ।
দ্রুততম পেসার উমরান মালিক আইপিএল থেকে ভারতীয় জাতীয় দলে ফিরতে মরিয়া
ডুরান্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে তার গোলটি পেত্রাতোসের কাছে বিশেষ। তার ‘স্টেনগান সেলিব্রেশন’ এবং ঊরু চাপড়ে উচ্ছ্বাস সমর্থকদের জন্যই। তিনি বলেন, “সমর্থকদের ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।”অবসর সময়ে পেনসিল স্কেচ করেন দিমিত্রি। সন্তানদের জন্য আঁকা তাঁর ছবি রং করে তারা ফিরিয়ে দেয়। ফুটবলের পাশাপাশি তিনি ক্রিকেট, গলফ, ও টেনিস খেলতেও পছন্দ করেন। তার শরীরজুড়ে থাকা ট্যাটুগুলিতে ফুটে ওঠে সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা।