মহারাষ্ট্রে ২৭ ফেব্রুয়ারি

ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি:মহারাষ্ট্রে ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয় মরাঠি ভাষা গৌরব দিবস হিসেবে, কারণ এই দিনটি মরাঠি ভাষার মহাকাব্যিক কবি কুসুমাগ্রজ বা ও. সি. শিরওয়াডকর এর জন্মদিন। এ বছর মরাঠি ভাষা গৌরব দিবস পালন করার আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়েছে, কারণ সম্প্রতি মরাঠি ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষার থেকে একটি অভিজ্ঞান ভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, মহারাষ্ট্র সরকারের অনুরোধের পর মরাঠি ভাষাকে এই মর্যাদা দিয়েছে।

২৭ ফেব্রুয়ারি মরাঠি ভাষার গৌরব ও রাজভাষা দিবসের বিশেষ গুরুত্ব পড়ুন

৮৩ মিলিয়ন মানুষ?

এখন, এই ভাষাটি দেশের ২২টি সরকারি ভাষার একটি হিসেবে সমাদৃত হয়েছে, এবং সারা বিশ্বের প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। এছাড়া, মরাঠি ভাষায় ৪০টিরও বেশি উপভাষার (বোলি) অন্তর্ভুক্তি রয়েছে, যা তার বৈচিত্র্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।এ বছর মরাঠি ভাষা গৌরব দিবসের সঙ্গে পালিত হচ্ছে মরাঠি ভাষার অভিজ্ঞান পাওয়ার আনন্দ। তবে অনেকেই জানেন না যে, মরাঠি ভাষা গৌরব দিবস এবং মরাঠি রাজভাষা দিবস একে অপর থেকে আলাদা।

এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে, যা আমাদের বুঝে নেওয়া দরকার।মরাঠি ভাষা গৌরব দিবস শুধুমাত্র মরাঠি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা এবং এর সংস্কৃতির উন্নতির জন্য পালন করা হয়। এই দিনটি কুসুমাগ্রজের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের স্মরণ করে, যাদের সাহিত্যে ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। তবে, মরাঠি রাজভাষা দিবসের বিশেষ গুরুত্ব হল, এটি মূলত রাজ্যের সরকারি ভাষা হিসেবে মরাঠির স্থানকে সম্মানিত করার জন্য পালন করা হয়।

কুম্ভমেলায় ক্যাটরিনা কইফ বিপাকে? কি ঘটেছিল?

এই দিনটি যখন রাজ্য সরকারের প্রতিষ্ঠা এবং মরাঠি ভাষার অঙ্গীকার সমর্থন করার উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।এভাবে, দুটো দিবসের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো একটির গুরুত্ব ভাষার গৌরব এবং সাহিত্যিক ঐতিহ্য, আর অন্যটির গুরুত্ব সরকারি ভাষা হিসেবে মরাঠির সম্মান। এই দুটি দিবসই মরাঠি ভাষাকে মূল্যায়ন করার এবং এর জ্ঞান এবং সংস্কৃতিকে চিরকাল সম্মানিত করার একটি বিশেষ সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর