ব্যুরো নিউজ,১৮ নভেম্বর:প্রত্যেক রবিবার কালীঘাটের মিলন সংঘ ক্লাবে ‘দিদির দরবার’ বসে।এই দরবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের সদস্যরা সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনেন। এই বিশেষ সেশনে, রাজ্যের নাগরিকরা তাদের সমস্যাগুলি সরাসরি জানাতে পারেন, এবং সেগুলির সমাধানও করা হয় তৎক্ষণাৎ। এখানে, সাধারণ মানুষ তাদের বিভিন্ন অভাব, অভিযোগ বা সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। অভিযোগ শোনার পর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইডি-র ৫০ ঘণ্টা তল্লাশিঃ আন্তঃরাজ্য লটারি প্রতারণা চক্রে বড় পদক্ষেপ
ভবিষ্যতের উপর প্রভাব
কিন্তু সম্প্রতি, কালীঘাটের এই ‘দিদির দরবার’ এ জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ, যার মধ্যে কলকাতা পুরসভা ও অন্যান্য পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। রবিবার, কালীঘাটে আসা একাধিক মানুষ তাদের অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন এবং সেগুলির মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ পুরসভার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ছিল। অভিযোগের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে দুর্ব্যবহারের কথা শোনা গেছে, আবার কিছু জায়গায় কাজ না করার কিংবা অসহযোগিতার মতো অভিযোগও জমা পড়েছে।এমন ঘটনা যে ঘটবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি। তবে, বাস্তবে এমনটাই হয়েছে, এবং পুরসভা–সহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রাজনৈতিক অভিযোগগুলি তৃণমূল ভবনে জমা দিতে হবে, কিন্তু পরিষেবা সংক্রান্ত বা প্রশাসনিক অভিযোগ কেবল ‘দিদির দরবারে’–তেই শোনা হবে।
১০০ দিন পরেও বিচার নেইঃ জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ
গত রবিবারও ‘দিদির দরবারে’ বহু মানুষ হাজির হন এবং তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। এর মধ্যে কলকাতা পুরসভার কিছু কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল। তবে, এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছেই। এমনকি, পুরসভার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এই বিষয়টি নিয়ে চরম চিন্তায় আছেন, কারণ তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলি তাদের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।