ব্যুরো নিউজ,১২ অক্টোবর:ধর্মতলায় চলছে ‘দ্রোহের উৎসব’, যেখানে দুর্গাপুজোর আবহের মধ্যেই অসংখ্য মানুষ জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে একত্রিত হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে, অনশনরত ডাক্তার এবং আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সকলেই। গতকাল সন্ধ্যায় ধর্মতলার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে ভিড় উপচে পড়েছে। সাধারণত এই সময়ে মানুষ পুজো মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দর্শন করেন, কিন্তু এবার ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলছেন। তারা দেবী দুর্গার আশীর্বাদ কামনা করে চিকিৎসকদের (নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়) পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
দেবলীনার পুজো উদযাপন: মা দুর্গার আশীর্বাদে নতুন জীবনের অপেক্ষা
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান
শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাক শুনে বিকেল থেকেই ধর্মতলায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। রাত যত বাড়ে, বিচার দাবি করার দৃঢ়তা আরও বৃদ্ধি পায়। অনশনকারীরা ‘আমরা করব জয়’ গান গাইতে থাকেন, আর অনেক মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দেন। স্লোগান শোনা যায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এবং ‘জাস্টিস অফ আরজি কর।’এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে অনশনকারীদের দীর্ঘায়ু কামনা করে দেবী দুর্গার কাছে পুজো দেওয়া হয়েছে। ওই সময় অনিকেত মাহাতো সহ মোট সাতজন অনশন করছিলেন। তাদের নামেই পুজো দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে আরও দুজন অনশন শুরু করেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের পেছনে পুলিশী চাপ: রাজনীতির জাল
৫ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন স্নিগ্ধা হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা, পুলস্ত্য আচার্য, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা। শুক্রবার আলোলিকা ঘোড়ুই এবং পরিচয় পণ্ডা নতুন করে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুজন জুনিয়র ডাক্তারও অনশনে রয়েছেন।শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত আন্দোলনকারীদের কাছে একটি মেল পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী সরকারের তরফে কী কাজ করা হয়েছে, তার একটি খতিয়ান দিয়েছেন। তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হবে। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা এই মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন, তারা দেখতে চান কাজের বাস্তবতা।