ব্যুরো নিউজ,১৪ জানুয়ারি:দেবের ‘খাদান’ মুক্তির পর বক্স অফিসে একের পর এক সাফল্য দেখানো সত্ত্বেও ছবিটি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক কম হয়নি। ‘খাদান’ এবং ‘সন্তান’ ছবির মধ্যে একসময় তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, এবং দুই ছবির প্রচারের সময় কিছু বিতর্কিত মন্তব্যও শোনা গিয়েছিল। ‘খাদান’-এর প্রচারের সময় পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ ওঠে, তবে রাজ পরে বলেন যে এটি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আবার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকে নিয়েও তীব্র আক্রমণের অভিযোগ ওঠে, যদিও ঋত্বিক বলেন, তিনি আসলে ‘ফেসবুক বোদ্ধা’দের উদ্দেশ্য এই মন্তব্য করেছিলেন, কাউকে আক্রমণ করে নয়। তবে, এই সব ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ট্রোলিং এবং পাল্টা আক্রমণের সৃষ্টি করেছিল।
মুখ খুললেন সুপারস্টার দেব
এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন সুপারস্টার দেব। এক সাক্ষাৎকারে দেব বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল যে খারাপ ছবি হলে সবচেয়ে বেশি প্রমোশন লাগে। আমারই বন্ধু পরিচালক কথাটি বলেছিলেন। তখন আমি কিছুই বলিনি, কিন্তু আমার কাজই সবকিছুকে জবাব দেবে। যারা আমাকে ট্রোল করেছিল, তারাই প্রথম দিনেই টিকিট কেটে আমার ছবি দেখতে গিয়েছিল। এইটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।” দেব আরও বলেন, “আমি কোনোক্রমেই চাই না কেউ কাউকে ট্রোল করুক। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মতো জায়গায় সবাই ট্রোল হয়। এটা এখন একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে আমাকে বিশেষভাবে ট্যাগ করা হচ্ছে। আমি এসব উৎসাহিত করি না।”সম্প্রতি, ‘বহুরূপী’ নির্মাতা এবং অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী জিনিয়া সেনের বিরুদ্ধে দেবের অনুরাগীদের দ্বারা অশালীন আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। কিছু কুরুচিকর এবং যৌনগন্ধী মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যা নিয়ে শিবপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পুলিশে অভিযোগ করেছেন। প্রযোজক রানা সরকার, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এবং অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীও এই অশালীন আক্রমণের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
রোহিত শর্মার রঞ্জি ট্রফিতে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ? ক্রিকেট বিশ্বে জল্পনা
দেব এই বিষয়ে বলেন, “এখানে আমার বা আমার টিমের কোনো দোষ নেই। আমি চাই না কেউ কাউকে ট্রোল করুক। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সবাই ট্রোল হয়, এবং আমি এগুলোকে উৎসাহিত করি না।”এই ঘটনাগুলি একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। দেবের এমন মন্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠেছে, এসব ট্রোলিং এবং আক্রমণ কীভাবে আসল সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। তবে, দেব তার কাজেই বিশ্বাস করেন, এবং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলাগুলির মধ্যে তিনি কখনোই নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চান না।