ব্যুরো নিউজ , ১৬ ফেব্রুয়ারি:নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটে যাওয়া একটি পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ২ জন শিশু এবং ১৪ জন মহিলা আছেন। ঘটনায় আহত অনেক যাত্রীও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মহাকুম্ভগামী যাত্রীদের ভিড় সামলাতে কেন আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি এবং কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেই বিষয়ে রেলমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
ফ্রুট স্যালাডের সঙ্গে সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতাঃ কোন কোন ফল একসাথে মেশানো উচিত নয় জানুন
বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা
ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রয়াগরাজের দুটি ট্রেন বাতিল হওয়ার পর যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে দ্রুত ছুটে যাচ্ছিলেন। এর ফলে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয় এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। রেলের তরফ থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আহতদের উদ্ধার করতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেলওয়ে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কেপিএস মালহোত্রা জানিয়েছেন, বিলম্বিত ট্রেনের কারণে প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়েছিল এবং এর ফলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে ছিল এবং অন্যান্য ট্রেনগুলোর বিলম্বিত হওয়ার কারণে আরও যাত্রী প্ল্যাটফর্মে ভিড় জমিয়েছিল। এতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সম্মানরক্ষার ম্যাচ লড়াই ট্রফির জন্য
রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। দিল্লির তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, আহতদের সহায়তায় দিল্লি সরকারের আম আদমি পার্টির ২ জন বিধায়ক উপস্থিত রয়েছেন। তবে অতিশী জানান, এই ঘটনায় রাজনীতি না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই, আপ ও কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে শুরু করেছে।