ব্যুরো নিউজ , ৬ ফেব্রুয়ারি :দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও আম আদমি পার্টি (আপ)-এর মধ্যে তৃতীয়বারের মতো লড়াই জোরালো হতে চলেছে। পাঁচ বছর আগে আপের বিশাল জয়ের পর, এবার কিছুটা আসন কমলেও পুনরায় ক্ষমতায় আসার আশা করছে কেজরীওয়ালের দল। তবে বিজেপি নেতৃত্বও ২৮ বছর পর দিল্লি দখল করার দাবি তুলেছে। এদিকে, কংগ্রেসও ১০ বছর পর ভোটে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনঃ বুথফেরত সমীক্ষা এবং আসল ফলের মধ্যে বিস্তর ফারাক, কে হবে জয়ী?
ফলাফল বদলানোর আশা?
এই সমস্ত দাবির মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার, যখন বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের সিলমোহর ভাঙা হবে, তখন স্পষ্ট হবে কোন দলের আশা বাস্তবায়িত হবে।এবারের নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের জন্য ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ভোটার তাঁদের রায় দেবেন। মোট ৬৯৯ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে আছেন। আপ, কংগ্রেস, বিএসপি এবং বিজেপি একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করছে। এবারের নির্বাচনে আপ ৭০ আসনেই লড়ছে। কংগ্রেস এবং বিএসপি কিছুটা কম আসনে লড়ছে। বিজেপি ৬৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, বাকি আসনগুলোতে তাদের সহযোগীরা দাঁড়িয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং বিজেপির প্রার্থী প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিং বর্মার পুত্র প্রবেশ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াই কালকাজি কেন্দ্রেও হতে চলেছে, যেখানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরি লড়ছেন।২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনেও একে অপরকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসা এই দুই প্রধান দল আপ এবং বিজেপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। ২০২০ সালে আপ ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬২টি আসন জিতেছিল, বিজেপি পেয়েছিল ৩৮ শতাংশ ভোট এবং কংগ্রেস শূন্য। এবারেও কিছুটা হলেও সেই ফলাফল বদলানোর আশা দেখা যাচ্ছে।
দিল্লী ভোটের আগে যমুনা নদী ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধির
তবে, নির্বাচনের আগে একে অপরকে ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠেছে। কেজরীওয়াল অভিযোগ করেছেন, বিজেপি এবং কংগ্রেস একযোগে ভোটে কারচুপি এবং ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি দাবি করেছে যে, আপ ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিভিন্ন বস্তির এলাকাতে প্রচার করছে। তবে শেষমেশ ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনী ফলাফলেই পরিষ্কার হবে, কে জয়ী হবে এবং দিল্লির ভবিষ্যত কী হবে।