ব্যুরো নিউজ ১৫ নভেম্বর :শীতের শুরুতে দিল্লি পরিণত হয়েছে এক বিষাক্তপুরীতে। যেখানে কুয়াশার বদলে ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে পুরো শহর। তিনদিন ধরে দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘ভয়াবহ’ অবস্থায় রয়েছে। আজও বাতাসের গুণগত মান পৌঁছেছে ৪৯৮ যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক বিপদজনক। দিল্লি বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোরের পর।
সাত সকালে ময়দানে দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
ঘন কুয়াশার সঙ্গে দূষণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী বাতাসে থাকা ক্ষতিকর পিএম ২.৫ মাত্রা অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সূক্ষ্ম ধূলিকণাগুলি শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। দিল্লির বিভিন্ন এলাকা যেমন জাহাঙ্গীরপুরী (৪৫৮), বাওয়ানা (৪৫৫), ওয়াজিরপুর (৪৫৫) এবং রোহিনী (৪৫২) এর মধ্যে বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে, যান চলাচলও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে দূষণ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কিছু জায়গায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য হয়ে গেছে। বিমান চলাচল এবং ট্রেন চলাচলেও দেরি হচ্ছে।
দূষণের অবস্থা মেটাতে দিল্লি সরকার প্রাথমিক স্কুলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অতিশি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুলগুলিতে অনলাইন পঠনপাঠন চালু থাকবে।
৩০ বছর বয়সী যুবককে উপর হামলা চালায় পোষ্য পিটবুল!
দূষণ নিয়ন্ত্রণে এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন গ্রেডেড অ্যাকশন রেসপন্স প্ল্যান (GRAP 3) কার্যকর করেছে। এর অধীনে নির্মাণ ও ভাঙার কাজ বন্ধ, বিএস-৩ পেট্রোল ও বিএস-৪ ডিজেল গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা, এবং ডিজেল জেনারেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির সঙ্গে গুরগাঁও, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ এবং নয়াদিল্লিতেও এই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে।