ব্যুরো নিউজ, ২৬ অক্টোবর :ভারতীয় রেল সম্প্রতি দেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর (ডিএফসি) প্রকল্পের মাধ্যমে। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার মতে, ডিএফসি প্রকল্পের ফলে ভারতের জিডিপিতে ১৬ হাজার কোটি টাকা সংযোজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (ডিএফসিসিআইএল) এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর (WDFC)-এর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মুখ্য সচিবকে
পণ্য পরিবহণের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি
ডিএফসিসিআইএল-এর তথ্যানুসারে ডিএফসি চালু হওয়ার পর পণ্য পরিবহণে খরচ কমেছে এবং সময়ের সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ০.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ডিএফসি ভারতের রেলওয়ের রাজস্ব আয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ২.৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে ভারতীয় রেল তার পণ্য পরিবহণের ১০ শতাংশেরও বেশি পরিবহণ করছে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের মাধ্যমে।
সাধারণ মানুষের খাবার জন্য মুগ ও মুসুর ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের
ডেডিকেটেড পণ্য করিডর ২৮৪৩ কিমি জুড়ে বিস্তৃত এবং ভারতের সাতটি রাজ্যের ৫৬টি জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। ইস্টার্ন করিডর লুধিয়ানা থেকে সোননগর পর্যন্ত ১৩৩৭ কিমি এবং ওয়েস্টার্ন করিডর দাদরি থেকে মুম্বই পর্যন্ত ১৫০৬ কিমি এলাকা কভার করে, যার কাজ প্রায় ৯৩.২ শতাংশ শেষ হয়েছে। সাধারণ ট্র্যাকে মালবাহী ট্রেনের গতি ২০-২৫ কিমি থাকলেও, ডিএফসি ট্র্যাকের গতি ৫০-৬০ কিমি পর্যন্ত হয়েছে। বর্তমানে এই করিডরে প্রতিদিন গড়ে ৩২৫টি ট্রেন চলাচল করে, যা গত বছরের থেকে ৬০ শতাংশ বেশি।