Cyclone Remal

ব্যুরো নিউজ, ২৬ মে  : আয়লা, আমফান, ইয়াসের ঘা এখনও দগদগে। এরই মধ্যে আবার রেমালকে নিয়ে নয়া আতঙ্ক। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের আগমন কিন্তু মে মাসে। আয়লা ২০০৯-এর ২৫ মে, ফণী ২০১৯-এর এপ্রিল-মে মাস নাগাদ হয়েছিল। ২০২০-র ২০ মে আমফান, ২০২১-এ ২৬ মে ইয়াস, সেও মে মাসে। রেমালের আগমনও হচ্ছে মে মাসেই। এই মে মাসেই একের পর ঘূর্ণিঝড় রাজ্যের বুকে নেমে এসেছে। আমফানের সময় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবন।

ময়নাগুড়িতে ৬ কোটি টাকার বিলিতি মদ উদ্ধার! ঘটনায় তৃণমূল যোগ!

আয়লা, আমফান, ইয়াস, রেমালের আগমন মে মাসেই কেন?

রেমাল রবিবার মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। দক্ষিণবঙ্গের জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। শহর কলকাতা থেকে জেলা সব জায়গায় ঝোড়ো হাওয় সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র উপকবলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।

তবে প্রশ্ন উঠছে এই মে মাসেই কেন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে? আবহবিদরা বলছেন, বর্ষার আগে অর্থাৎ এপ্রিল-জুন মাসে এবং বর্ষার পর অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ভারত মহাসাগরের উত্তরের অংশ বেশ স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এই সময় ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। এই সময়ের মধ্যে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের থেকে তার শক্তি অনেক বেশি হয়। এই সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। ফলে নিম্নচাপ দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। আর সেই কারণে মে মাসেই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়ে।

BJP Helpline

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর