কথায় কথায় আপনি কেঁদে ফেলেন?

ব্যুরো নিউজ,৩০ ডিসেম্বর:কান্না অনেকের কাছে দুর্বলতা বা আবেগের অতিরিক্ত প্রকাশ মনে হলেও এটি আসলে একটি প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়া। আমাদের জীবনে হাসির মতো কান্নাও একটি অপরিহার্য অংশ। অনেক সময় যখন মন ভারাক্রান্ত থাকে, তখন কান্না হল একধরনের মুক্তি।কাঁদলে যেমন মন হালকা হয়ে যায়, তেমনি শরীরের ওপরের চাপও অনেকটা কমে যায়। যদি দীর্ঘদিন ধরে সেই দুঃখ বা যন্ত্রণা চাপা রাখা হয়, তবে তা শারীরিক অসুস্থতায় পরিণত হতে পারে। তবে কিছু মানুষ আছেন, যারা একটু বেশিই কাঁদেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কিছু বিশেষ গুণও থাকে, যা অন্যদের থেকে আলাদা।

মঙ্গল গ্রহে রহস্যময় অঞ্চলের সন্ধান!

ইমোশনাল কোশেন্ট

এরা সাধারণত অনেক বেশি ইমোশনাল কোশেন্ট বা আবেগ অনুভব করতে পারেন। সহজেই নিজেদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে সক্ষম হন। যে কারণে, প্রয়োজন পড়লে অন্যদের সহানুভূতি ও সাহায্যও প্রদান করতে পারেন। কাঁদা বা নিজের আবেগ প্রকাশ করা, এদের জন্য কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। বরং, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এই আবেগই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের মানুষরা বন্ধুদের পাশে দাঁড়াতে জানেন এবং তাদের মনোভাব বুঝে সাড়া দিতে পারেন। এমনকি তাদের চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসলেও, তারা হাসি দিয়ে অন্যদেরও সুখী করতে পারেন।আজকালকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে, আমরা প্রায়ই হাসিখুশি এবং সুখী থাকা আবশ্যক মনে করি। কিন্তু বাস্তবে, দুঃখ বা কান্না আমাদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এক সময় পুরুষদের চোখে জল দেখলে সমাজে তা অস্বাভাবিক বা নেতিবাচক হিসেবে দেখা হতো।

বাস্তু অনুসারে বালিশের নিচে কী রাখলে সৌভাগ্য আপনার পিছু ছাড়বে না জানুন

কিন্তু যারা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে পিছপা হন না, তারা এ ধরনের সমাজের ধারণাগুলিকে উপেক্ষা করে, নিজের অনুভূতিকে প্রাধান্য দেন। এমন মানুষেরা তাদের জীবন থেকে স্ট্রেস বা চাপ কমিয়ে আনতে পারেন, কারণ কান্না এক ধরনের শারীরিক এবং মানসিক মুক্তি, যা তাদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া, যারা কেঁদে ফেলতে সঙ্কোচ করেন, তারা জীবনের নানা কষ্ট ও চাপ নিজের মধ্যে পুষে রাখেন, যা পরবর্তীতে শারীরিক অসুখে রূপ নিতে পারে। সুতরাং, কান্না যদি আপনার অনুভূতি প্রকাশের একটি পথ হয়, তবে তা একেবারেই স্বাভাবিক এবং সুস্থ থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর