ব্যুরো নিউজ,২৮ অক্টোবর:২০২০ সালে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বাংলার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। এই ঝড়ের ফলে জনজীবন কার্যত এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। অনেক ঘর ভেঙে গিয়েছিল এবং বিস্তীর্ণ চাষের জমি জলের নিচে চলে গিয়েছিল। প্রশাসন ত্রাণ ও ত্রিপল সরবরাহের ব্যবস্থা করে, কিন্তু ত্রাণ সামগ্রী সাধারন মানুষের কাছে এসে পৌঁছায় না।কারনটা অবশ্যই দুর্নীতি। অভিযোগ উঠেছিল, শাসক দলের নেতারা গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ ত্রাণ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন। চাল ও ত্রিপল চুরির অভিযোগও ওঠেছে, এবং ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাত করেছে।যদিও শাসক দল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মিঠুনের জ্বালাময়ী বক্তব্যঃ ১ কোটি সদস্য নিয়ে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে চান
সরকারি নিয়মেই ত্রাণ বিতরণ
আমফানের পর আরও অনেক ঝড় এসেছে উপকূলীয় এলাকায়। ‘ফণী’, ‘বুলবুল’, ‘ইয়াস’, ‘রেমাল’ এইসব ঘূর্ণিঝড়ের প্রকপে পড়েছিল উপকূলীয় এলাকা। সব সময়ই প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়। দুর্ভোগে পড়া মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাচার করে নেতারা নিজেদের পকেট ভরানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।গোসাবার এক বাসিন্দা মন্তব্য করেছেন, ‘দুর্যোগ এলেই রাজনীতির কারবারিরা খুশি হয়ে যান।ত্রান বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভরেন।’ মণিপুর পঞ্চায়েতের এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘সরকার যে পরিমাণ ত্রাণ পাঠায়, আমাদের কাছে তা আসে না। তৃণমূলের নেতারা মাঝপথে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করেন।’ ভাঙড়ের এক গৃহবধূ জানিয়েছেন, ‘আমফানের সময় আমি ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। শাসক দল পছন্দের লোকজনকে ত্রাণ দেয়।’
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় রহস্যময় মৃত্যুঃ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল আধিকারিকের দেহ
সুন্দরবনের নদীবাঁধ ও জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির নেতা চন্দন মাইতি বলেছেন, ‘আমফান ও ইয়াসের সময় দেখেছি কীভাবে ত্রাণ লুট হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ আসেনি।’ রায়দিঘির সিপিএম নেতা ইয়াসিন গাজি বলেন, ‘দুর্যোগ হলেই শাসক দলের নেতাদের মধ্যে খুশির মেজাজ দেখা যায়। গরিবদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না, বরং নেতাদের পরিবারকে দেওয়া হয়।’ তবে শাসক দলের নেতারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে অভিযোগ সঠিক নয়। সরকারি নিয়মেই ত্রাণ বিতরণ হয়।’