ব্যুরো নিউজ,১৬ সেপ্টেম্বর:রবিবার সকাল থেকেই সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। লাগাতার এই বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে পড়েছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে সুন্দরবন পুলিশের ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল ও নামখানা থানার পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার চলছে। পর্যটক ও উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য এই প্রচার চালানো হচ্ছে।
রানিনগরে তৃণমূল নেতার জন্মদিনে পুলিশ উপস্থিতি: বিতর্কে মুর্শিদাবাদ
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা
দীর্ঘ তিন দিন ধরে টানা চলা বৃষ্টির কারণে নদী ও সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গতকাল, টানা বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ায় নামখানার নারায়ণগঞ্জের কাছে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধে ধস নেমেছে এবং নতুন করে বেশ কিছু বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুদীপার মন খারাপ, তবে নতুন চমক আসছে: ‘রান্নাঘর’-এ কনীনিকার দায়িত্ব
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায়, যেমন পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর, ও ডায়মন্ড হারবারে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমার নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল জমেছে ধান জমি ও সবজির বাগানেও। জেলা প্রশাসন প্রতিটি ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুতের নির্দেশ দিয়েছে এবং সেচ, বিদ্যুৎ, ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঝাড়খণ্ড সফরে রোডশো বাতিল: নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ঘোষণা
গত দুই দিনের এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নামখানা ব্লক। ঝড়ের দাপটে একের পর এক কাঁচা বাড়ি ভেঙে গেছে এবং ছাউনি উড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি ও দোকান। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা খুব ভয়ে আছি। আমাদের তো এইটুকুই সম্বল। ভোটের সময় সবাই আসে, তারপর আর কেউ আসে না। যদি প্রশাসন সাহায্য করে তাহলে ভাল হয়।”