ব্যুরো নিউজ ১৪ মে: কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা, যা অনেকের দিনের শুরুতেই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এই সমস্যা দূর করতে ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু সহজ খাবার, বিশেষত ফল, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখলে ওষুধ ছাড়াও মিলতে পারে স্বস্তি। কারণ, এই ফলগুলি ফাইবার, জলের পরিমাণ ও প্রাকৃতিক এনজাইমে পরিপূর্ণ, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।
বিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে প্রেমানন্দ জি মহারাজের সাথে আধ্যাত্মিক মুহূর্ত।
কোন ফলগুলো রাখতে পারেন রোজকার খাদ্যতালিকায়?
ভারতীয় সেনাকে শক্তিশালী করতে কোন অস্ত্রে কত বরাদ্দ করলেন সীতারামন
১. ন্যাশপাতি:
ন্যাশপাতি একটি প্রাকৃতিক উপকারী ফল। এতে থাকা সরবিটল নামক উপাদান অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে ন্যাশপাতি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমে।
২. শুকনো ডুমুর:
বাজারে সহজলভ্য শুকনো ডুমুর ফাইবারে ভরপুর। ছ’টি ডুমুরে প্রায় ৮ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা মলকে নরম করতে সাহায্য করে। রাতে ডুমুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে হজমে উপকার পাওয়া যায়।
৩. কিউয়ি:
এই বিদেশি ফল এখন দেশীয় বাজারেও সহজেই মিলছে। কিউয়ির মধ্যে থাকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক এনজাইম, যা অন্ত্রের চলাচল সহজ করে এবং পেট ফাঁপা বা মলত্যাগে কষ্টের সমস্যা কমায়। দিনে ১-২টি কিউয়ি খাওয়া যেতে পারে।
৪. পেঁপে:
পাকা বা কাঁচা, দুই ধরনের পেঁপেই হজমে অত্যন্ত উপকারী। পেঁপের প্যাপাইন নামক এনজাইম হজম প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। এছাড়া এতে প্রচুর জল থাকায় মল নরম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হ্রাস পায়।
৫. খেজুর:
খেজুরে রয়েছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার, প্রাকৃতিক গ্লুকোজ় ও ফ্রুকটোজ়। রাতে কিছু খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়ার অভ্যাস করলে হজম ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমে।
নতুন শুরু, নিয়ে গুঞ্জন, প্রেম নয়, কাজের দিকে মনোযোগী সামান্থা
ওষুধের পরিবর্তে প্রকৃতির কাছেই রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই উপকারী ফলগুলো যুক্ত করলে হজমের সমস্যা অনেকটাই দূরে রাখা সম্ভব। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।