complain launched against sourav ganguly

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কে না চেনেন? তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের “মহারাজ”। ভারতবাসীর “দাদা” তিনি। তাকে ভরসাও করেন আপামোর বাঙালি। আর সেই ভরসা করার ফল এখন ভোগ করছেন মহেশতলার আবাসিকেরা।ব্যাপারটা একটু খোলসা করা যাক।

ঠিক কি ঘটেছে আবাসিকদের সঙ্গে

জিভে জল এনে দেওয়ার মতো রেসিপি কেশরী ইলিশ

একটি আবাসন প্রকল্পের প্রচার করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিজ্ঞাপনী প্রচারে দাদার প্রতি ভরসা রেখেই বহু মানুষ ওই আবাসনের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু সেই ভরসাই কাল হলো। অনেক মানুষ এই আবাসনের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন কিন্তু তারা ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের অভিযোগ আবাসনের মালিক নূন্যতম সুবিধা দেওয়া তো দূর, উল্টে চুক্তি-বহির্ভূত অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানায়। পুলিশের কাছে জমা পড়া অভিযোগ পত্রে ১২৭ জন আবাসিকের সই রয়েছে। অভিযোগকারীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত এক নম্বর বাটানগর রোডের আবাসনের বাসিন্দা। ওই আবাসন প্রকল্পে মোট পাঁচ হাজার ফ্ল্যাট আছে। ২০১৩ সাল থেকে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দেব এবং ওই আবাসন প্রকল্পের মালিক। বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গিয়েছিল খবরের কাগজ থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল।

PM modi in ICAE: একটা সময় চ‍্যালেঞ্জ ছিল, আজ বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা দেয় ভারত,ICAE-তে মোদী

আবাসিকরা বিজ্ঞাপনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখে ভরসা করে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন কিন্তু যা যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার কিছুই পূরণ হয়নি। ওই প্রকল্পের প্রথম দফার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ তে যা এখনো অসম্পূর্ণ। আবাসনে জলের সমস্যা রয়েছে,অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সেভাবে নেই, সিসি ক্যামেরার সংখ্যা অত্যন্ত কম, তার মধ্যে বেশিরভাগটাই খারাপ, মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যায় আবাসনের লিফট। আবাসিকরা বেশ কয়েকবার লিফটে আটকেও পড়েছেন। আবাসনে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় মধুচক্রের মতো অসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আবাসিকরা। চুক্তির শর্তানুযায়ী ফ্ল্যাট পেতে দেরি হলে ক্ষতিপূরণ দেবার কথা ছিল মালিক পক্ষের কিন্তু সেই টাকাও মেলেনি আবাসিকদের হাতে উল্টে চুক্তি-বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে ।আবাসন একেবারেই থাকার উপযোগী নয়। কিছু কিছু আবাসিক বাধ্য হয়ে ফ্ল্যাট বিক্রিও করে দিচ্ছেন। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে আবাসিকরা একত্রিত হয়েছেন এবং তাদের বক্তব্য এর দায় আবাসনের মালিকের সাথে সাথে প্রচারক হিসেবে সৌরভের উপরেও বর্তায়। কারণ তারা সৌরভের উপর ভরসা করেই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

সৌরভ গাঙ্গুলীকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান তিনি ওই প্রজেক্ট এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মাত্র। এই অভিযোগের তাই কোন ভিত্তি নেই কারণ তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি আরো জানান ওই আবাসন প্রকল্পের মালিক বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য যে টাকা তাকে দেবেন বলেছিলেন তিনি সেই টাকা এখনো হাতে পাননি। তাই তিনিও বঞ্চিতই।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর