ব্যুরো নিউজ, ২৫ এপ্রিল: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তার জেরেই আদালত অবমাননার দায়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ গৃহীত হল। অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, অনিন্দ্য সুন্দর দাস এবং কৌস্তভ বাগচী।
এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন চাকরিহারারা
বৃহস্পতিবার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ায় শুরু করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, সোমবার হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে ২০১৬ এর গোটা প্যানেলে বাতিল করে দিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে ৫,০০০ এর বেশি কিছুজনের চাকরিতে বেনিয়ম রয়েছে বলে দাবি আদালতে। যদিও আদালতের এই রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ায় শুরু করেছে সিবিআই।
রচারে বেরিয়ে কল্যাণের গাড়ি থেকে নেমে যেতে হলো কাঞ্চনকে! কিন্তু কেন?
অন্যদিকে সোমবারের এই রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আঙুল তুলেছেন। এই নিয়ে বিজেপিকেও নিশানা করতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমিও আইনের ছাত্রী ছিলাম, এখনও বার কাউন্সিলের মেম্বার। আমি জাজেস নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু জাজমেন্ট নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে।’
এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, অনিন্দ্য সুন্দর দাস এবং কৌস্তভ বাগচীর তিনটি আলাদা আলাদা আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই মামলা গ্রহণ করে।
বৃহস্পতিবার বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আদালতে হলফনামা আকারে পেশ করেন। এই প্রসঙ্গে বিকাশ রঞ্জন বলেন, ‘ওঁ (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বারবার বিভিন্ন জায়গায় বিচারপতি, বিচার প্রক্রিয়া, বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন।’ নির্বাচনের মধ্যে একের পর এক ইস্যুতে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে রাজ্য সরকার এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এরপর মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ কী হয় সেটাই দেখার