ব্যুরো নিউজ, ৪ নভেম্ববর :বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের জন্য মোবাইল ফোন যেন একটি অপরিহার্য জিনিস। হাতে মোবাইল পেলেই তারা আনন্দে ভাসে। সারাদিন কার্টুন দেখায় বা গেম খেলে। বিশেষ করে বাবা-মায়েরাও শিশুকে খাওয়ানোর বা অন্যান্য কাজের সময় হাতের কাছে মোবাইল দিলে শিশুরা আর কিছু চায় না। দিনে দিনে শিশুদের স্ক্রীন টাইম অর্থাৎ মোবাইল বা টিভির সামনে কাটানো সময় বাড়তে থাকছে। কিন্তু এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
বর্তমানে শিশুদের শ্রবণশক্তি এবং বধিরতার সমস্যা বাঁচাতে বাবা-মায়েদের করণীয়
এ বিষয়ে কি বলছে গবেষকরা
রুক্ষ ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চান? কলার খোসাই প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক
গবেষণাগুলি দেখাচ্ছে, স্ক্রীন টাইম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের মধ্যে স্থূলতা বা চাইল্ড ওবেসিটির হারও বেড়ে চলেছে। অল্প বয়সীদের মধ্যে স্থূলতার প্রবণতা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে এটি একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদিন মোবাইল স্ক্রীনে মনোনিবেশ করার কারণে শিশুদের খেলাধুলায় অনীহা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্রীন এক্সপোজার সীমিত করা শিশুদের সু-স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার সময় কমে যাওয়ার ফলে শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপও হ্রাস পাচ্ছে। যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হচ্ছে।
শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সত্যি কি ডিম কার্যকরী কি বলছে পুষ্টিবিদরা
এএম মেডিক্যাল সেন্টারের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়তি সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘ শিশুরা এখন এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছে যেখানে ডিজিটাল মিডিয়া এবং মোবাইলের প্রভাব রয়েছে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার শিশুর বিকাশে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রভাব ফেলতে পারে।’ যদিও মোবাইল থেকে শেখার কিছু আছে, তবে গবেষণা বলছে, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল দেখার নেতিবাচক প্রভাব ইতিবাচক থেকে অনেক বেশি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩ দশকে শিশুদের মধ্যে ওবেসিটির হার প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। যেখানে বর্তমানে শিশুদের মধ্যে এই হার ১৭ শতাংশ। টিভি দেখার অভ্যাসও শিশুদের স্থূলতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে। সচেতনতা বৃদ্ধি, জীবনযাপনে পরিবর্তন এবং স্ক্রীন টাইম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব। কিন্তু এর জন্য অভিভাবকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।